বিয়ে বাড়িতে হুজুরকে দাওয়াত না দেয়ায় সংঘর্ষে আহত ১১

উপজেলা প্রতিনিধি, হাতিয়া (নোয়াখালী)
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৩
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৩

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়েতে স্থানীয় হুজুরকে দাওয়াত না দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক নারীসহ দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের লামছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

আহতরা হলেন—হেলাল উদ্দিন, ইমতিয়াজ, ফরিদ উদ্দিন, ওমর ফারুক, কোহিনুর বেগম, উম্মে কুলসুম, নাজিম উদ্দিন, মারজান উদ্দিন, সাইফুজ্জামান, শাহাবউদ্দিন ও মহিমা বেগম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়েতে পাশের বাড়ির হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়ায় হেলাল মাঝি ও কামাল পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য রবিবার বিকেলে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ১১ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে কোহিনুর বেগম ও ফরিদ উদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন বলেন, ‘বিয়ের দিন আমরা পাশের হুজুরকে না ডেকে আমাদের পারিবারিক শিক্ষককে দাওয়াত দিই। এতে হেলাল মাঝি ক্ষুব্ধ হন। আজ দোকানের সামনে এ বিষয় নিয়ে আবার কথাকাটাকাটি হলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে।’

অন্যদিকে আহত হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার শাহাবউদ্দিনের ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে আমাদের মসজিদের হুজুরকে না ডেকে বাইরের হুজুরকে দাওয়াত দেয়া হয়। আমি মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেন। আজ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে তাদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘শাহাবউদ্দিন ও মারজানকে জনরোষ থেকে রক্ষায় নিরাপত্তা হেফাজতে থানায় রাখা হয়েছে। মুমূর্ষু দু’জনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত