জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে ওমান প্রবাসী পরিবারের নারী ও শিশু সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যার পর নিহতদের লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালী-লক্ষীপুর মহা সড়কের বেগমগঞ্জের পূর্ব চন্দগঞ্জের জগদীশপুর এলাকায় তারা দুর্ঘটনা পতিত হয়েছেন।
এদিকে পরিবারের স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। একই সাথে পরিবারের সাতজনের মৃত্যুতে স্বজনরা শোকে বিহুবল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন পাড়া-প্রতিবেশী ও সজনরা নিহতদের বাড়িতে এসে বিড় জমায়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দূর দূরান্ত থেকেও অনেকে ছুটে আসে নিহতদের বাড়িতে। স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
নিহতরা হলেন, ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের মা মোরশিদা (৫৫), ভাবি লাবনী (৩০), ভাতিজী রেশমী( ৮), লামিয়া ( ৯), মেয়ে মিম (২), স্ত্রী কবিতা (২৪) এবং ফয়জুন্নেসা (৮০)।
মৃত সবাই লক্ষীপুর জেলার হাজিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের বাসিন্দা। প্রবাসী বাহার উদ্দিন পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালের মধ্যে পড়ে পানিতে ডুবে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিদেশ ফেরত প্রবাসী বাহার উদ্দিনের পরিবারকে বহনকারী মাইক্রোবাস ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে পূর্ব চন্দগঞ্জের জগদীশপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। এতে নারী ও শিশু সহ একই পরিবারের ৭জনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ নোয়াখালীর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমার দেশকে বলেন, ঘটনার পর থেকে মাইক্রোবাস চালক পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাস জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চালকের চোখে ঘুম থাকায় হয়তো এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ গুলো আইনী প্রিক্রয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. তালহা বিন জসিম বলেন, সকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চন্দ্রগঞ্জপূর্ব বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ করে।
এই ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিটন দেওয়ান বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার সময় জানান, দুর্ঘটনার শিকার সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। দুর্ঘটনার স্বীকার মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশ দাফনের কাজ সমাপ্ত করে নিহতের স্বজনরা থানায় মামলা দিলে মামলা নেওয়া হবে। তবে এটি হাইওয়ে পুলিশের বিষয়, সেক্ষেত্রে মামলার তদন্ত করবে হাইওয়ে পুলিশ।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় আমার দেশকে জানান, দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাসের দুজন নারীর মৃতদেহ বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এরা দুজন সম্পর্কে ছিলেন বউ শাশুড়ি। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন তারা মৃত। লাশ দুটি পরবর্তীতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছ।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া রাত পৌনে ৮টার সময় আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত সাতজনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর সকলের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃতদের স্বজনরা খুবই ভারাক্রান্ত, তারা এখনো মামলা দেয়নি। আগামীকাল নাগাদ তারা মামলা করবেন। মাইক্রোবাসটি জব্দ করে হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। চালক আকবর হোসেন (২৪) পলাতক রয়েছেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে ওমান প্রবাসী পরিবারের নারী ও শিশু সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যার পর নিহতদের লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালী-লক্ষীপুর মহা সড়কের বেগমগঞ্জের পূর্ব চন্দগঞ্জের জগদীশপুর এলাকায় তারা দুর্ঘটনা পতিত হয়েছেন।
এদিকে পরিবারের স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। একই সাথে পরিবারের সাতজনের মৃত্যুতে স্বজনরা শোকে বিহুবল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন পাড়া-প্রতিবেশী ও সজনরা নিহতদের বাড়িতে এসে বিড় জমায়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দূর দূরান্ত থেকেও অনেকে ছুটে আসে নিহতদের বাড়িতে। স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
নিহতরা হলেন, ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের মা মোরশিদা (৫৫), ভাবি লাবনী (৩০), ভাতিজী রেশমী( ৮), লামিয়া ( ৯), মেয়ে মিম (২), স্ত্রী কবিতা (২৪) এবং ফয়জুন্নেসা (৮০)।
মৃত সবাই লক্ষীপুর জেলার হাজিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের বাসিন্দা। প্রবাসী বাহার উদ্দিন পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালের মধ্যে পড়ে পানিতে ডুবে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিদেশ ফেরত প্রবাসী বাহার উদ্দিনের পরিবারকে বহনকারী মাইক্রোবাস ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে পূর্ব চন্দগঞ্জের জগদীশপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। এতে নারী ও শিশু সহ একই পরিবারের ৭জনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ নোয়াখালীর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমার দেশকে বলেন, ঘটনার পর থেকে মাইক্রোবাস চালক পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাস জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চালকের চোখে ঘুম থাকায় হয়তো এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ গুলো আইনী প্রিক্রয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. তালহা বিন জসিম বলেন, সকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চন্দ্রগঞ্জপূর্ব বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ করে।
এই ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিটন দেওয়ান বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার সময় জানান, দুর্ঘটনার শিকার সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। দুর্ঘটনার স্বীকার মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশ দাফনের কাজ সমাপ্ত করে নিহতের স্বজনরা থানায় মামলা দিলে মামলা নেওয়া হবে। তবে এটি হাইওয়ে পুলিশের বিষয়, সেক্ষেত্রে মামলার তদন্ত করবে হাইওয়ে পুলিশ।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় আমার দেশকে জানান, দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাসের দুজন নারীর মৃতদেহ বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এরা দুজন সম্পর্কে ছিলেন বউ শাশুড়ি। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন তারা মৃত। লাশ দুটি পরবর্তীতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছ।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া রাত পৌনে ৮টার সময় আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত সাতজনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর সকলের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃতদের স্বজনরা খুবই ভারাক্রান্ত, তারা এখনো মামলা দেয়নি। আগামীকাল নাগাদ তারা মামলা করবেন। মাইক্রোবাসটি জব্দ করে হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। চালক আকবর হোসেন (২৪) পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে