Ad T1

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চান চট্টগ্রাম বিএনপি তৃণমূলের কর্মীরা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ২০: ০৪

গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদ ও ফ্যাসিস্ট শাসনের কারণে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম বিএনপি তৃণমূলের কর্মীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকায় ক্ষোভ জানান অনেকে।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে অংশ নিতে আসা কর্মীদের অনেকেরই এমন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থেকে তারুণ্যের সমাবেশে অংশ নিতে এসেছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী তিনি। পলোগ্রাউন্ডের মাঠের গেইটে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, ২০১৪ সালের পর থেকে এলাকায় যেতে পারেননি তিনি। বিএনপি করার অপরাধে মামলা হামলায় জর্জরিত ছিল তার পরিবার। যার নেপথ্যে ছিল আওয়ামী লীগের নেতারা। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হলেও ওই ফ্যাসিস্ট শক্তির এখনও বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার থাকায় বিস্মিত তিনি।

রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে এসেছেন যুবদলকর্মী ইসরাফিল। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী হাসান মাহমুদের অত্যাচারে গত ১৬ বছর ধরে অতিষ্ঠ ছিলেন। জুলাই বিপ্লবের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে। কিন্তু অনেকে সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে। এমনটা হলে ১৬ বছরের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বিএনপির রাজনীতি ধরে রাখাটাই বৃথা হবে বলে জানান তিনি।

রাউজান থেকে তারুণ্যের সমাবেশে তরুণদের নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা শুনতে এসেছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রামিম হাসান। তিনি জানান, ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করার পর জুলাই বিপ্লবে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু তাই নয় পতনের ৯ মাসেও তাদের ভেতরে কোন অনুশোচনা নেই। এতেই প্রমাণিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার তাদের নেই। সম্প্রতি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। বিএনপি এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলে গণমানুষের দাবি আদায় আরও সহজ হতো বলে জানান তিনি।

রামিম, ইসরাফিল, কিংবা মনিরুজ্জামানের মতো হাজারো তরুণ ছাত্রদল ও যুবদল কর্মীর প্রত্যাশা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। একই সঙ্গে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। আর গণমানুষের এই দাবি আদায়ে রাজপথে সক্রিয় হোক বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত