চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার বিতর্কিত ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী প্রীতি ও বিরোধী মত দমনের অভিযোগ থাকায় হাটহাজারী জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সোমবার রাতে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ।
এর আগে তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার দায়িত্বে ছিলেন।
জানা যায়, গত শনিবার হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও সুন্নী পন্থী দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেনকে অপসারণ করা হয়।
নতুন ওসি হিসেবে মনজুর কাদের ভূঁইয়ার নাম ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন যেন কোনো বিতর্কিত ওসি হাটহাজারীতে নিয়োগ না দেয়া হয়।
এমনকি এক মুক্তিযোদ্ধা তার ওয়ালে লিখেছেন, ‘হাটহাজারী থানায় কোনো দোষী ও বিতর্কিত ওসিকে পোস্টিং দেয়া থেকে বিরত থাকুন।’
মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চকরিয়ায় দায়িত্বকালীন সময়ে নানা অভিযোগ ওঠে।
বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা ঝাঁটা-জুতা মিছিল ও মানববন্ধন করলেও তিনি বহাল তবিয়তেই ছিলেন।
এছাড়া ২০১৩ সালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদে ঈদগাঁও বাজারে মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হন রশিদ আহমদ। ওই মামলায় মনজুর কাদের ভূঁইয়া ২ নম্বর আসামি।
অন্যদিকে, কক্সবাজারের এক সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না অভিযোগ করেন, ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার নির্দেশে একদল পুলিশ তাকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং সাজানো মামলায় চালান দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া আমার দেশকে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলাম। উল্লেখিত সাংবাদিক আমার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।’

