আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো মামলার আসামি আত্মগোপণে

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ২২

সাভারের আশুলিয়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৬ লাশ পোড়ানো মামলার আসামি শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান আত্মগোপণে রয়েছেন। তিনি কোনো প্রকার ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরছেন না।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একজন সহকর্মী পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, ২৪ এপ্রিল থেকে ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান থানায় আসছেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্রুনাল আদালতের মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে হয়তো তিনি আত্মগোপণে চলে গেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মো. তানভির হোসেন বলেন, কর্মস্থলে ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান অনুপস্থিতি রয়েছেন। তিনি কোথায় আছেন তা আমরা জানি না। জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি কোনো মামলার আসামি কিনা তাও বলতে পারছি না। পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে বা কোনো আদালত থেকে এ সংক্রান্ত নথিপত্র আমাদের কাছে আসেনি। তার অনুপস্থিতির বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা ইতিমধ্যে চলমান রয়েছে।

মামলার এজাহার ও পালং থানা সূত্র জানায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ জন মারা যান। তারা হলেন সাজ্জাদ হোসেন সজল, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, আস-সাবুর এবং বায়েজিদ। আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম বাদী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্রুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ২৭ নম্বর আসামি করা হয় মাসুদুর রহমানকে। তিনি তখন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিলেন। এরপর তাকে শরীয়তপুর জেলা পুলিশে বদলি করা হয়। তিনি গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশে যোগদান করেন। তারপর শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার তাকে ১২ ডিসেম্বর সদরের পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে পদায়ন করেন।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ২৪ এপ্রিল থেকে পরিদর্শক মাসুদুর রহমান থানায় অনুপস্থিত। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমার থানার কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কাছে জানতে পেরেছি, তার জরুরি ফোন এসেছে, মা অসুস্থ, ঢাকায় যেতে হবে। একথা বলে তিনি থানা থেকে বের হয়ে যান। পরে সন্ধ্যার পর থানায় এসে তাকে পাইনি। তিনি কোথায় আছেন তা আমরা জানি না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত