বিএনপি নেতার নাম থাকায় মামলা নিতে গড়িমসি, থানায় অনশনে রাজিয়া

উপজেলা প্রতিনিধি, ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৪৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে বাদি ও তার স্ত্রী-সন্তানদের উপর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের প্রকাশ্যে হামলার ঘটনায় ফতুল্লা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রাজিয়া সুলতানা নামের এক নারী।

বিজ্ঞাপন

সোমবার রাতে মামলা নথিভুক্ত করার দাবিতে স্বামী-সন্তানসহ থানা কম্পাউন্ডে বসে অনশন করেন তিনি। তবুও পুলিশ তার মামলা নিচ্ছে না।

রাজিয়া সুলতানার অভিযোগ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানকে আসামি করায় পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করতে চাচ্ছে না। তারা সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে এজাহার লিখতে বলছে।

যদিও রাজিয়া সুলতানার এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, হামলার ভিডিও ফুটেজে ঘটনাস্থলে সাখাওয়াত হোসেন খানের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আমরা আদালত প্রাঙ্গণের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য অফিসিয়ালি আবেদন করবো। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজিয়া সুলতানা জানান, আমার স্বামী ইরফান মিয়া ব্যবসায়ী ইসমাইলের কাছে স্যানেটারি পণ্য বিক্রির ২৫ লাখ টাকা পাওনা। গত এক বছর যাবৎ তিনি এই বকেয়া পরিশোধ করছেন না, উল্টো তাদের হুমকি দেন। এই ঘটনায় কয়েকমাস আগে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমার স্বামী ইরফানকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলাটি আসামিপক্ষের হয়ে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান লড়ছেন।

তিনি আরো বলেন, ওই মামলায় রোববার আদালতে হাজিরা থাকায় আমার স্বামীর সাথে আদালতে যাই। আদালত প্রাঙ্গণে আমাদের দেখতে পেয়ে সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার অ্যাসোসিয়েট আল আমিন, খোরশেদ ও মুহুরী হিরণ বাদশা এ হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ আমার স্বামী ইরফান মিয়া (৫০), দুই সন্তান মো. জিদান (১৮) ও আব্দুল্লাহ (৫) আহত হয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত