এখনো আ.লীগ নেতার প্রভাবে ঘর নির্মাণ করতে পারছেন না প্রবাসী

জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৫, ১৯: ৪৭
আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, ২১: ০২

গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে প্রতিবেশী গোলাপ মিয়া ও ধলাই মিয়া। এখনো তাদের প্রভাবে ঘর নির্মাণ করতে পারছি না। তাদের আত্মীয়স্বজন আওয়ামী লীগের বড় নেতা, তারা পালিয়ে গেলেও তাদের লোকজন রয়ে গেছে।

এলাকায় লাঠির জোর বেশি, সে কারণে ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। এভাবেই অভিযোগ করে কথাগুলো বলেছেন গৃহবধূ মাজিদা আক্তার।

বিজ্ঞাপন

গত সোমবার কিশোরগঞ্জ শহরের রথখলা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিকার চেয়েছেন তিনি। মাজিদা আক্তার জেলার কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া এলাকার প্রবাস ফেরত নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

মাজিদা আক্তার বলেন, গোলাপ মিয়া ও ধলাই মিয়ার আত্মীয় পুলিশের সাবেক ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ (নৌকা প্রতীকে সংসদ নির্বাচন করেছেন) এবং তার ভাই আবুল কাশেম আকন্দ ধূলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (নৌকা প্রতীক)। এ কারণে গত ১৫ বছর আমরা নির্যাতিত ছিলাম। তারা পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের প্রভাব রয়ে গেছে। তাদের লোক বেশি, তাই লাঠির জোরও বেশি।

গত মে মাসে আমি আমার জায়গায় ঘর নির্মাণকাজ করতে যায়। এ সময় গোলাপ মিয়া, ধলাই মিয়া ও তার লোকজন প্রথমে তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য তিন ফুট জায়গার দাবি জানায়। মানবতার কারণে তিন ফুট জায়গা দেওয়ার পরও কয়েকদিন যেতেই আবারও পাঁচ ফুট জায়গার দাবি করে। তখন তাদেরকে পাঁচ ফুট জায়গা দেই। ঘরের কাজ শুরু করে পিলার স্থাপনের পর আমাদের এখানে জায়গা পাবে বলে কাজ করতে বাধা দেয়।

বিষয়টি মীমাংসা করতে তাদেরকে স্থানীয়ভাবে বসার জন্য বলা হলেও তারা বসতে রাজি না। তাদের লোকজন বেশি থাকায় কোনোভাবে আমরা তাদের সঙ্গে পারছি না। আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে।

এরই জেরে গত ১৫ মে সকালে গোলাপ মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, ধলাই মিয়া, খোকন মিয়া ও তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করা হলে অভিযুক্তরা আমাদের ওপরে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে আমার স্বামী মো. নজরুল ইসলাম কটিয়াদী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত ধলাই মিয়া মুঠোফোনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, 'আমি নৌকা মার্কায় ভোট দেই, এইটা ঠিক আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো পদে নাই। ১৯৭০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করি।'

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, 'আমরা বিষয়টি তদন্তের জন্য দিয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সংবাদ সম্মেলনে মো. নজরুল ইসলাম, চাচা মানিক মিয়া, চাচাতো ভাই মো. ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত