যশোর রেলজংশন হয়ে খুলনা ও বেনাপোলের সঙ্গে সারা দেশের দশটি ট্রেনের শিডিউল থাকলেও চলেনি একটিও। রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেক যাত্রী টিকিট ফেরত দিয়ে বিরক্তি নিয়ে ফিরে গেছেন।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান,সার্বিক পরিস্থিতিতে যশোর জংশনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যশোর রেলজংশনের মাস্টার আয়নাল হাসান জানান, সকালের দিকে অনেক যাত্রী এসেছিলেন। তাদের কেউ খুলনা, কেউ মোংলা, বেনাপোল, রাজশাহী, ঢাকা বা অন্যান্য স্থানের যাত্রী। কিন্তু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই ফিরে গেছেন।
তিনি জানান, যে-সব যাত্রী ফিরে গেছেন তাদের মধ্যে অনেকের আগাম টিকিট কাটা ছিল। তারা টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন। তবে কতজন যাত্রী টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়েছেন তার তথ্য তিনি দুপুর পর্যন্ত দিতে পারেননি।
স্টাফদের কর্মবিরতি কারণে যে-সব ট্রেন মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলেনি সেগুলো হলো বেতনা এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস,জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, রকেট মেইল, মহানন্দা এক্সপ্রেস, মংলা কমিউটার, বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস।
চিকিৎসার জন্য খুলনায় যাওয়ার দরকার ছিল রমিজা খাতুনের। যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার এই বাসিন্দা বলেন, ‘আগে থেকে জানতাম না ট্রেন চলাচল বন্ধ। জানলে এখানে না এসে বাসটার্মিনালেই চলে যেতাম।’
ট্রেন না চলায় বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের ওপর চাপ বাড়তে দেখা গেছে। রেলজংশন ফেরত যাত্রীদের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল, পালবাড়ি, মণিহার অথবা চাঁচড়া মোড়ের বাসস্টপেজে যেতে দেখা যায়। পালবাড়ি বাসস্টপে একটি কাউন্টারে কর্মরত আরেফিন লাভলু জানান, ট্রেন না চলায় তাদের পরিবহনে যাত্রী বেড়েছে। তবে সবাই গন্তব্যে যেতে পারছেন।
এদিকে, যশোর রেলজংশনে পুলিশের টহল দেখা গেছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাড়তি এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন মাস্টার আয়নাল হাসান।

