আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

উপজেলা প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৩৭
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪০

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আড়াই বছর পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এরআগে ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় পর আবারো এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির ফলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আমদানিকারকরা।

প্রথম চালানে পেঁয়াজ আমদানি করেছে বাগেরহাটের এস এম ওয়েল ট্রেডার্স। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে ভারতও রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদন ও মজুত পর্যাপ্ত থাকলেও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সময়োপযোগী।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ধরা হয়েছে ৩০৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। বাজারে মানভেদে এই পেঁয়াজ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের কাস্টমস কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে দ্রুতই পণ্য বাজারে ছাড়া যাবে।

এদিকে সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, নতুন আমদানির কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা হলেও কমবে এবং বাজারে স্বাভাবিকতা ফিরবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত