যশোরে মিলাদুন্নবী প্রতিযোগিতায় ৭ হিন্দু বিচারক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৩০
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ০১: ১৯

যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে সাতজন হিন্দু শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, ইসলামি সংগীত, ইসলামিক কুইজ এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে এ ধরনের ইসলামিক অনুষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষকদের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দিবা ও প্রভাতী দুই শিফটের জন্য আলাদা বিচারকমণ্ডলী নিযুক্ত করা হয়। প্রভাতি শিফটে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য যথাক্রমে পলাশ কুমার রায়, রাজু বিশ্বাস ও শ্রাবণী পালকে বিচারক করা হয়।

aMARDESH_jASSHOR

একইভাবে দিবা শিফটে তৃতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির জন্য বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পান অনিতা রানী দাশ, নন্দকুমার অধিকারী, অমিতা গুপ্ত ও মৃণালিনী ভদ্র। বিদ্যালয়ের ৫১ জন শিক্ষকের মধ্যে যে সাতজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী, তাদের সবাইকেই এই ইসলামি প্রতিযোগিতার বিচারক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে মুসলিম শিক্ষকের অভাব নেই। এমন একটি পবিত্র প্রতিযোগিতায় হিন্দু শিক্ষকদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক। তারা আরও প্রশ্ন তোলেন, ইসলামিক বিষয়ের গভীর জ্ঞান ছাড়া হিন্দু শিক্ষকরা কীভাবে এই প্রতিযোগিতার সঠিক বিচার করবেন?

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে তিনি নিজস্ব সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মতামত না নেওয়ার কারণেই এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা সবার জন্যই বিব্রতকর।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব মুসলিম শিক্ষকরাই পালন করছেন। হিন্দু শিক্ষকদের কেবল কুইজের উত্তর মিলিয়ে দেখার মতো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সবাইকে কাজে লাগানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত