ঈশ্বরদীতে ছাত্রদল সমর্থকদের হামলায় ছুরিকাহত কিশোর

উপজেলা প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩২

পাবনার ঈশ্বরদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল সমর্থকরা দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের বকুলের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ছুরিকাহত কিশোরের পিতা।

বিজ্ঞাপন

আহত আরাফাত ইসলাম অপু (১৬) পৌর এলাকার নারিচা মসজিদ পাড়ার সোহেল প্রামানিকের ছেলে এবং সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির (বাণিজ্য শাখা) শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী রাহি (১৫) নারিচা মসজিদ পাড়া এলাকার লিটন প্রামানিকের ছেলে ও সামির (১৫) একই এলাকার ভাটা পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঈশ্বরদী থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে শহরের বকুলের মোড়স্থ বাবার পার্সের দোকানে যায় অপু। যাত্রাপথে পথ আগলে রাখা ছাত্রদল কর্মীদের পথ ছেড়ে দাঁড়াতে বলায় উভয়ের মধ্যে বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় রাহি এবং সামির এসে এলোপাথাড়িভাবে প্রহার করতে শুরু করে।

এর এক পর্যায়ে তার পেটের বাঁ পাশে ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করলে অপু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা অপুকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আহত অপুর বরাত দিয়ে তার বাবা সোহেল প্রামাণিক জানান, স্থানীয় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়রপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়নের সমর্থক এবং তারা রাস্তা দখল করে আড্ডা দিচ্ছিল। তাদের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় অপুর উপর তারা হামলা করে বসে। হামলার এক পর্যায়ে তার পেটে ছুরি বসিয়ে দিয়ে মারাত্মক যখম করে।

তিনি বলেন, আহত অবস্থায় অপুকে তারা টেনে হেঁচড়ে রফিকুল ইসলাম নয়নের দলীয় কার্যালয়ে নেয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অপুর পেটে ১৪টি সেলাই দেয়। এবিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়রপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, এ অঞ্চলের সকল পোলাপানই আমার ভাই ও সহকর্মী, আহত অপুও আমার ছোট ভাই। তাকে দেখতে বাড়িতেও গিয়েছিলাম। তার সুস্থতা ও মামলার যাবতীয় বিষয়াদির সর্বোচ্চ সহযোগিতা আশ্বাস দিয়ে এসেছি। হামলাকারীদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ স ম আব্দুন নুর জানান, এ বিষয়ে আহতের পিতা চারজনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত