ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুর ছেলেকে আঘাত করে হত্যা করে ফাঁসি হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করার অভিযোগে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা মোছা. মোর্শেদা বেগম আখি। এ সময় মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসিরও অভিযোগও করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে নগরীর সিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড় ছেলে মোস্তাফিজার রহমান।
লিখিত বক্তব্যে, রংপুরের মিঠাপুকুর থানার হয়বতপুর এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম আখি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার দেবর ও শশুর শাশুড়ি এবং প্রতিবেশি চাচা শশুর এর পরিবারের সদস্যদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে আমার স্বামী মোসলেম উদ্দিন ১২ বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে দুই ছেলেকে বড় করেন। এরমধ্যে বড় ছেলে মোস্তাফিজার (৩০)সহ বড় ছেলের স্ত্রী এবং ছোট ছেলের ঘরের নাতি আবির মিয়া (৮) কে নিয়ে কর্মের জন্য ঢাকায় যান। আর ছোট ছেলে মুছা মিয়া স্ত্রীকে নিয়ে মিঠাপুকুরের হয়বতপুর এলাকায় বসবাসকালীন তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরবর্তিতে ছোট ছেলে মুছা তার দাদা দাদীর আশ্রয়ে থাকা শুরু করেন। মা মোর্শেদা বেগম আখির সাথে নিয়মিত কথা হতো। ছোট ছেলে জমির ধানের উপর কয়েকজনকে টাকা ধার দিয়েছেন, সেই ধার নেওয়া টাকা ফিরত দিতে গড়িমসি করছেন বলে জানান তার মা।
এরই মধ্যে ১৩ মার্চ ফোনে জানতে পারেন মুছাকে কে বা কাহারা মেরে ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ খবর পেয়ে তিনি রংপুরে চলে আসেন। আসার পর ছেলের মুখটা দেখতে চাইলে দেবররা দেখাতে অস্বীকৃতি জানায়। তারপরও জোরপূর্বক তিনি ও বড় ছেলে মুছার মুখ দেখেন। এসময় ছেলের দুই হাতের কজির উপরের রক্তাক্ত কাটার দাগ দেখা যায়। পরে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনে বাধা দিলে দেবরেরা হুমকি ধামকি দিয়ে লাশ দাফন করে।
ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে রংপুর মিঠাপুকুর থানা ও বৈরাতিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে একাধিকবার অভিযোগ দিতে গেলে সেখানে কর্মরত পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বৈরাতি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রবিউল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। সেই সাথে তিনি একটা মামলা নম্বরও দেন। পরে ঐ মামলা বিষয়ে যাচাই বাছাই করে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
নিহতের মা মোর্শেদা বেগম আখি বলেন, আমার ধারণা কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা আমার ছেলেকে আঘাত করে হত্যা করে এবং হত্যাকে ফাঁস হিসাবে চালিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এসময় তিনি ছেলে হত্যার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের স্বার্থে মামলা নিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে বৈরাতিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলা হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুমতি সাপেক্ষে কবর দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তাছাড়া সেই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
মামলা নিতে গড়িমসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিহতের মা তো তখনই মামলা করতে পারতো। এতদিন পর কেন। তাছাড়া স্পষ্টই তো এটা ফাঁসি দেয়া ঘটনা।
অন্যদিকে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ঘটনা বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। আর মামলা করতে কেউ আসলে আমরা কেন মামলা নিবো না। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এমএস
রংপুরের মিঠাপুকুর ছেলেকে আঘাত করে হত্যা করে ফাঁসি হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করার অভিযোগে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা মোছা. মোর্শেদা বেগম আখি। এ সময় মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসিরও অভিযোগও করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে নগরীর সিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড় ছেলে মোস্তাফিজার রহমান।
লিখিত বক্তব্যে, রংপুরের মিঠাপুকুর থানার হয়বতপুর এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম আখি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার দেবর ও শশুর শাশুড়ি এবং প্রতিবেশি চাচা শশুর এর পরিবারের সদস্যদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে আমার স্বামী মোসলেম উদ্দিন ১২ বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে দুই ছেলেকে বড় করেন। এরমধ্যে বড় ছেলে মোস্তাফিজার (৩০)সহ বড় ছেলের স্ত্রী এবং ছোট ছেলের ঘরের নাতি আবির মিয়া (৮) কে নিয়ে কর্মের জন্য ঢাকায় যান। আর ছোট ছেলে মুছা মিয়া স্ত্রীকে নিয়ে মিঠাপুকুরের হয়বতপুর এলাকায় বসবাসকালীন তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরবর্তিতে ছোট ছেলে মুছা তার দাদা দাদীর আশ্রয়ে থাকা শুরু করেন। মা মোর্শেদা বেগম আখির সাথে নিয়মিত কথা হতো। ছোট ছেলে জমির ধানের উপর কয়েকজনকে টাকা ধার দিয়েছেন, সেই ধার নেওয়া টাকা ফিরত দিতে গড়িমসি করছেন বলে জানান তার মা।
এরই মধ্যে ১৩ মার্চ ফোনে জানতে পারেন মুছাকে কে বা কাহারা মেরে ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ খবর পেয়ে তিনি রংপুরে চলে আসেন। আসার পর ছেলের মুখটা দেখতে চাইলে দেবররা দেখাতে অস্বীকৃতি জানায়। তারপরও জোরপূর্বক তিনি ও বড় ছেলে মুছার মুখ দেখেন। এসময় ছেলের দুই হাতের কজির উপরের রক্তাক্ত কাটার দাগ দেখা যায়। পরে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনে বাধা দিলে দেবরেরা হুমকি ধামকি দিয়ে লাশ দাফন করে।
ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে রংপুর মিঠাপুকুর থানা ও বৈরাতিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে একাধিকবার অভিযোগ দিতে গেলে সেখানে কর্মরত পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বৈরাতি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রবিউল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। সেই সাথে তিনি একটা মামলা নম্বরও দেন। পরে ঐ মামলা বিষয়ে যাচাই বাছাই করে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
নিহতের মা মোর্শেদা বেগম আখি বলেন, আমার ধারণা কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা আমার ছেলেকে আঘাত করে হত্যা করে এবং হত্যাকে ফাঁস হিসাবে চালিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এসময় তিনি ছেলে হত্যার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের স্বার্থে মামলা নিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে বৈরাতিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলা হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুমতি সাপেক্ষে কবর দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তাছাড়া সেই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
মামলা নিতে গড়িমসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিহতের মা তো তখনই মামলা করতে পারতো। এতদিন পর কেন। তাছাড়া স্পষ্টই তো এটা ফাঁসি দেয়া ঘটনা।
অন্যদিকে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ঘটনা বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। আর মামলা করতে কেউ আসলে আমরা কেন মামলা নিবো না। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এমএস
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে