কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কাজাইকাটা এলাকার জিঞ্জিরাম ঘাটে ইজারা ছাড়াই টোল আদায় করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, টোল আদায় না করার শর্তে গ্রামবাসীর কাছ থেকে বাঁশ ও টাকা সংগ্রহ করে একটি সাঁকো নির্মাণ করে তারা। কিন্তু সাঁকো নির্মাণের পর থেকেই ভ্যান প্রতি ৫০ টাকা, মোটরসাইকেল প্রতি ২০ টাকা এবং পথচারীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করছে ওই চক্রটি। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি এলাকায় প্রতিনিয়ত হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৯ জুলাই ভুক্তভোগীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জল কুমার হালদারকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরে ইউএনও উভয় পক্ষকে ডেকে টোল আদায় থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে টোল আদায় চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বারবার অবগত করার পরও দুই মাস ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন আমবাড়ির বক্তার হেসেনের ছেলে খায়রুল, মৃত বহুল উদ্দিন ছবিয়াল, নবুল্লা শেখের ছেলে ফকিরা, নূর হেনের ছেলে হামিয়াল, কাজাইকাটার রহিজ উদ্দিনের ছেলে জবান মুন্সি এবং বারেক মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া।
অভিযুক্ত খায়রুল বলেন, ‘আমরা নিজের টাকা খরচ করে সাঁকো নির্মাণ করেছি, তাই আমরাই টোল আদায় করছি। প্রশাসনকে আমরা চিনি না।’
এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করা ফুল মিয়া বলেন, ‘প্রশাসন হয় ইজারার ব্যবস্থা করুক, নয়তো টোল আদায় বন্ধ করুক। গ্রামবাসীর কাছ থেকে বাঁশ ও টাকা নিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে আবার তাদের কাছ থেকেই ইজারা ছাড়াই টোল আদায় করা কতটা বৈধ?’
এ নিয়ে এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও উজ্জল কুমার হালদার বলেন, ‘’অভিযোগ পেয়েছি, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”

