খানসামায় বিএনপির এক পক্ষের ওপর অপর পক্ষের হামলা

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ২৩: ১৬
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ০১: ৫৭

দিনাজপুরের খানসামায় দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলা বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে দিনাজপুর ৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান ও তার অনুসারীদের উপরে অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক নেতা মহসিন আলীসহ তার গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে, যা পুরো বাজার এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাচিনিয়া বাজার এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারীরা একটি মিটিং করছিলেন। সেই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আখতারুজ্জামান মিয়ার অনুসারীরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জলিল শাহ্-এর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

অভিযোগ রয়েছে, তাকে বিবস্ত্র করে লাঞ্ছিত করা হয়। জলিল শাহকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সাবেক মেম্বার আশরাফ আলীর ওপরও হামলা চালানো হয় এবং মাথা ও পা ভেঙে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান ও তার অনুসারীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কাচিনিয়া বাজারে প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভা শেষে ফেরার সময় আবারও আখতারুজ্জামান মিয়া গ্রুপের অনুসারীরা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভাবকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিনের নেতৃত্বে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজসহ তার পক্ষের আরও বহু নেতাকর্মী রক্তাক্ত হন। তারা বর্তমানে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংঘর্ষের সময় পুরো বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে খানসামা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খানসামা থানার ওসি নজমুল হক বলেন, "খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ ও জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।"

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত