উপজেলা প্রতিনিধি, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় সরকার নির্ধারিত নীতিমালা লঙ্ঘন করে একাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘এমপিও নীতিমালা ২০২১’-এর ১১.১৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক আর্থিক লাভজনক অন্য কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। অথচ এ উপজেলায় অন্তত তিনজন শিক্ষক রয়েছেন যারা একযোগে নিকাহ রেজিস্ট্রার ও শিক্ষক—দুই দায়িত্বই পালন করে আসছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চারজন নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার শামছুল হক সিদ্দিকী এবং মধ্যনগর ইউনিয়নের ইদ্রিস আজাদ—দুজনই বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। শামছুল হক প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্ট এবং ইদ্রিস আজাদ সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তবে শামছুল হকের বাড়ি মাদরাসার ৩০ কিলোমিটার দূরে এবং ইদ্রিস আজাদের স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা জেলায় হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
একই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকায় পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া চামরদানী ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. শফিকুল ইসলাম। তিনিও চামরদানী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক। তিনি নিয়মে আছে জেনেই দুই পেশায় কর্মরত রয়েছে বলে জানান।
বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদরাসার একাধিক অভিভাবক জানান, প্রতিষ্ঠানটির দুইজন শিক্ষক বছরের পর বছর ধরে একযোগে শিক্ষকতা ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এমনকি মাদরাসা খোলা থাকা অবস্থায়ও তারা নিয়মিত ক্লাস ফেলে বিয়ের কাজে চলে যান, যা এখন একটি সাধারণ প্রথায় পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপার শামছুল হক সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এই দুটি দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে আমার বড় ভাই বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন। এছাড়া আমি মনে করি, উভয় দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।
অন্যদিকে, ইদ্রিস আজাদ জানান, তিনি ২০১৩ সালে কাজী হিসেবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে মধ্যনগরের বাসিন্দা হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে অন্য কাউকে দিয়ে বিয়ের রেজিস্ট্রি করাই।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ আহমেদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, একইসঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। এটি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যারা এমনটি করেছেন, তারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, এমপিও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় সরকার নির্ধারিত নীতিমালা লঙ্ঘন করে একাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘এমপিও নীতিমালা ২০২১’-এর ১১.১৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক আর্থিক লাভজনক অন্য কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। অথচ এ উপজেলায় অন্তত তিনজন শিক্ষক রয়েছেন যারা একযোগে নিকাহ রেজিস্ট্রার ও শিক্ষক—দুই দায়িত্বই পালন করে আসছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চারজন নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার শামছুল হক সিদ্দিকী এবং মধ্যনগর ইউনিয়নের ইদ্রিস আজাদ—দুজনই বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। শামছুল হক প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্ট এবং ইদ্রিস আজাদ সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তবে শামছুল হকের বাড়ি মাদরাসার ৩০ কিলোমিটার দূরে এবং ইদ্রিস আজাদের স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা জেলায় হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
একই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকায় পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া চামরদানী ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. শফিকুল ইসলাম। তিনিও চামরদানী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক। তিনি নিয়মে আছে জেনেই দুই পেশায় কর্মরত রয়েছে বলে জানান।
বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদরাসার একাধিক অভিভাবক জানান, প্রতিষ্ঠানটির দুইজন শিক্ষক বছরের পর বছর ধরে একযোগে শিক্ষকতা ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এমনকি মাদরাসা খোলা থাকা অবস্থায়ও তারা নিয়মিত ক্লাস ফেলে বিয়ের কাজে চলে যান, যা এখন একটি সাধারণ প্রথায় পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপার শামছুল হক সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এই দুটি দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে আমার বড় ভাই বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন। এছাড়া আমি মনে করি, উভয় দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।
অন্যদিকে, ইদ্রিস আজাদ জানান, তিনি ২০১৩ সালে কাজী হিসেবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে মধ্যনগরের বাসিন্দা হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে অন্য কাউকে দিয়ে বিয়ের রেজিস্ট্রি করাই।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ আহমেদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, একইসঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। এটি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যারা এমনটি করেছেন, তারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, এমপিও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
এ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২১ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩৯ মিনিট আগে