কীটনাশক শিল্পে সিন্ডিকেট ভাঙতে কমিটি করেছে বামা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ১২

কৃষি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপখাত কীটনাশক শিল্পে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙতে এবার চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ এগ্রো-কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বামা)।

বিজ্ঞাপন

বামার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানীর এসিআই গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এসিআইয়ের চেয়ারম্যান ও বামার প্রধান উপদেষ্টা আনিস-উদ-দৌলার নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—বামার সভাপতি ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান এবং সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর খান।

কমিটির দায়িত্ব হবে প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কীটনাশক খাতে দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ও বৈষম্যমূলক শুল্ক-নীতির বিষয়গুলো তুলে ধরা এবং সমস্যার সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো।

বামা বলছে, স্থানীয় কৃষি শিল্পের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। তারা শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধা তৈরি করে কৃষকের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আইনকে অজুহাত বানিয়ে স্থানীয় উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে পিটাক (বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি)। এমনকি আমদানির ক্ষেত্রেও সিঙ্গেল সোর্স ও সিঙ্গেল কান্ট্রি নিয়ম চাপিয়ে দিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

ফলে, নির্দিষ্ট কোম্পানির পণ্যই নির্দিষ্ট দেশ থেকে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা, যার ফলে চার-পাঁচ গুণ বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় উৎপাদন নিরুৎসাহিত করতে কাঁচামাল আমদানিতে ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যেখানে একই পণ্য প্রস্তুত করে আমদানি করলে দিতে হয় মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কীটনাশকের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করলেও এখনো পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সে অনুযায়ী কোনো পরিবর্তন আনেনি।

এর আগে ২৫ আগস্ট এনবিআরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশীয় কীটনাশক উৎপাদক ও আমদানিকারকরা কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের পক্ষে মত দেন। তবুও এই খাতে কার্যকর নীতিগত পরিবর্তন দেখা যায়নি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত