নির্বাচিত হলে এফবিসিসিআইতে রাজনৈতিক কোনো প্রভাব খাটানোর সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেন নয়ন।
তিনি বলেন, দেশের জাতীয় রাজনীতির বাইরে কেউ না। আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতেই পারে, তবে এফবিসিসিআইতে নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেন না হয় তা নিশ্চিতে কাজ করবো।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেসে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
জাকির হোসেন বলেন, আমি মাঝারি খাতের ব্যবসায়ী। এর আগে মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীরা নমিনেশন তোলার সাহসই পেতেন না। একটি বিশেষ স্থান থেকে ওহি নাজিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হতো। ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্বের কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও ওই ওহি নাজিলের কারণে দুর্বল চেম্বারের নেতাকেও সভাপতি বানানো হয়েছে এবং যারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ অগ্রাধিকার না দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থকে বিবেচনায় নিতো, এবার এটিকে রহিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার প্যানেলের কিছু ইশতেহার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। তাদের দিকে নজর দেয়ার সুযোগ এসেছে। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের ভেতরে নারী উদ্যোক্তা কম। মোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ। তাদের সংখ্যা না বাড়ালে ব্যবসা টেকসই হবে না।
ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে আরএমজি খাতের রপ্তানি কমে যাবে ৮ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানির বৈচিত্রায়ন না হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাবে না। মাছের আঁশ রপ্তানির মতো পাট খাতকেও আধুনিকায়ন করা হবে। তাছাড়া পোশাক রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হালাল পোশাক প্রস্তুতে জোর দিতে হবে। এতে অপ্রচলিত বাজার একদিকে বাড়বে অন্যদিকে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক গিয়াস উদ্দীন খোকন, বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন, সদস্য বেলায়েত হোসেন, আনিসুর রহমান বাদশাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

