প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান

কর ফাঁকি রোধ করে রাজস্ব বাড়াতে চাই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৯: ০৮

একদিকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি অন্যদিকে ব্যবসাবান্ধব শুল্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ-দুটি পরস্পর বিপরীতমুখী কাজ এনবিআরকে করতে হয়। এটি এনবিআরের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যবসায়ীরা কর, শুল্ক কমানোর যেসব দাবি জানাচ্ছে সেগুলোর কোনটাই অযৌক্তিক নয়। কিন্তু সবকিছু করতে গেলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আগামী বাজেটে করের বোঝা না বাড়িয়ে কর সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স বৃদ্ধি ও কর ফাঁকি রোধ করে রাজস্ব বাড়াতে চাই।

বিভিন্ন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, আমদানিকারকদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এসব কথা বলেন। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁয় অবস্থিত এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞাপন

প্রাক-বাজেটে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর হার বাড়ানো নয়-এটাই এবারের মূলনীতি। আমরা এভাবেই এগুচ্ছি এবং আপনারা আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। আপনাদের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে না তবে আমরা চেষ্টা করছি আপাদের লাইফটাকে যতটা সহজ করা যায়। আবার এটাও আমাদের বুঝতে হবে, এ দেশটা আমোদের সবার। আমাদের রাজস্বের যোগানও দিতে হবে। আঠারো কোটির পরিবার আমাদের। যারা বেশি ইনকাম করবে তারা বেশি কর দিবে, যারা কম ইনকাম করবে তারা কম টেক্স দিবে। যার ইনকাম নেই সে টেক্স দিবে না বরং সরকার তাকে ভর্তুকি দিবে।

সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুল্ক হার কমানোর দাবি জানানো হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর কমাতে না পারলেও বাড়বে না, এটা বলতে পারি। নিম্নস্তরের দুটি সিগারেটকে একীভূত করার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছে মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন, এটা করা হলে অবৈধ সিগারেটের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং এতে সরকার রাজস্ব হারাবে। ভবিষ্যতে এটা সম্ভব হতে পারে তবে এজন্য কর কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে।

বিড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর নকল ব্রান্ড রোল ব্যবহারের বিষযে সতর্ক করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেটের তুলনায় আপনাদের টেক্স অনেক কম কিন্তু আপনারা ফাঁকি দেন বেশি। যদি এ অবস্থা চলতে থাকে এবং নকল ব্র্যান্ড রোল ব্যবহার করেন তাহলে আপনাদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাবে। প্রয়োজনে বিড়ি উৎপাদনকারীদের জন্য আলাদা আইন করা হবে।

ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ওষুধের উপর আমদানি শুল্ক কমানো, এইচ এস কোড সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এছাড়া মোবাবইল কোম্পানিকে আলাদাভাবে বিটিআরসি থেকে পিএসআর যাতে নিতে না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। কাস্টমসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগ করেন আলোচকরা। এসব হয়রানি রোধ করার বিষয়েও এনবিআর চেয়ারম্যান তাদের আশ্বাস দেন।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত