সিডিবিএলের তালিকাভুক্তি
কাওসার আলম
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিতে গত ২৭ মে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামানের হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দিয়েছিল ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় তিন মাস পার হলেও এ বিষয়ে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে চিঠি দেওয়ার মধ্যেই থেমে আছে সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আবদুল মোতালেব আমার দেশকে বলেন, সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির বিষয়ে আমরা কারো পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চিঠি পাইনি এবং এ ব্যাপারে কোনো ধরনের আলোচনাও হয়নি। তবে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে পর্ষদ তালিকাভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সিডিবিএল যদিও একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি; কিন্তু এর আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। এছাড়া কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রেও সিডিবিএলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে সিডিবিএল নিজে ইস্যুয়ার হতে পারবে কি নাÑ এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিডিবিএলের সংবেদনশীলতার কারণে এটির তালিকাভুক্তি নিয়ে কারো কারো আপত্তিও রয়েছে।
২০০৯ সালে সিডিবিএলের শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু সে উদ্যোগও থেমে যায়। ডিএসইর পক্ষ থেকে তালিকাভুক্তিতে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছিল, পুঁজিবাজারের কাস্টডিয়ান হিসেবে সিডিবিএলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনো কারণে সিডিবিএল কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে তার প্রভাব পুরো শেয়ারবাজারে পড়বে।
ডিএসইর প্রতিনিধি হিসেবে সিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী। সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির বিষয়ে তিনি আমার দেশকে বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট এ ধরনের কোম্পানির তালিকাভুক্তির নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে আবার না থাকারও নজির রয়েছে। সুতরাং সিডিবিএল তালিকাভুক্ত হতে পারে, কোনো সমস্যা নেই। তালিকাভুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বোর্ডে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, দাবি উঠলে এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ডিবিএর চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল রিজভী বলেন, সিডিবিএলের পর্ষদ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামানকে ডিবিএ চিঠি দিয়েছেÑ এমনটি আমরা জানতে পেরেছি।
জানতে চাইলে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমরা সিডিবিএল পর্ষদের সঙ্গে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় আমরা অনন্যোপায় হয়ে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি খুবই লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আমরা বিদেশি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি নিয়ে অনেক কথা বলছি; কিন্তু সিডিবিএলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে কেন তালিকাভুক্ত করার কথা বলছি না! সবার স্বার্থে সিডিবিএল তালিকাভুক্ত হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অর্থেই সিডিবিএল মুনাফা করছে। সুতরাং এই কোম্পানির মালিকানা পাওয়ার অধিকার জনগণের রয়েছে। আইনি জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আইন মানুষই তৈরি করে। আইনের সংশোধন অসম্ভব কিছু নয়।
এ বিষয়ে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী আমার দেশকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শেয়ারবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত না হওয়াই উচিত বলে মনে করি। সিডিবিএল যেহেতু প্রত্যেকটা বিও একাউন্ট, শেয়ার লেনদেনের তথ্যের হিসাব রাখে সেক্ষেত্রে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে পর্ষদকে বিনিয়োগকারীদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। এতে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে সিডিবিএল প্রতিষ্ঠিত হয়। সিডিবিএলের মূল কাজ হলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের তথ্য ও হিসাব সংরক্ষণ রাখা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিতে গত ২৭ মে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামানের হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দিয়েছিল ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় তিন মাস পার হলেও এ বিষয়ে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে চিঠি দেওয়ার মধ্যেই থেমে আছে সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আবদুল মোতালেব আমার দেশকে বলেন, সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির বিষয়ে আমরা কারো পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চিঠি পাইনি এবং এ ব্যাপারে কোনো ধরনের আলোচনাও হয়নি। তবে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে পর্ষদ তালিকাভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সিডিবিএল যদিও একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি; কিন্তু এর আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। এছাড়া কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রেও সিডিবিএলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে সিডিবিএল নিজে ইস্যুয়ার হতে পারবে কি নাÑ এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিডিবিএলের সংবেদনশীলতার কারণে এটির তালিকাভুক্তি নিয়ে কারো কারো আপত্তিও রয়েছে।
২০০৯ সালে সিডিবিএলের শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু সে উদ্যোগও থেমে যায়। ডিএসইর পক্ষ থেকে তালিকাভুক্তিতে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছিল, পুঁজিবাজারের কাস্টডিয়ান হিসেবে সিডিবিএলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনো কারণে সিডিবিএল কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে তার প্রভাব পুরো শেয়ারবাজারে পড়বে।
ডিএসইর প্রতিনিধি হিসেবে সিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী। সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির বিষয়ে তিনি আমার দেশকে বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট এ ধরনের কোম্পানির তালিকাভুক্তির নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে আবার না থাকারও নজির রয়েছে। সুতরাং সিডিবিএল তালিকাভুক্ত হতে পারে, কোনো সমস্যা নেই। তালিকাভুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বোর্ডে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, দাবি উঠলে এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ডিবিএর চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল রিজভী বলেন, সিডিবিএলের পর্ষদ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামানকে ডিবিএ চিঠি দিয়েছেÑ এমনটি আমরা জানতে পেরেছি।
জানতে চাইলে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমরা সিডিবিএল পর্ষদের সঙ্গে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় আমরা অনন্যোপায় হয়ে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। সিডিবিএলের তালিকাভুক্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি খুবই লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আমরা বিদেশি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি নিয়ে অনেক কথা বলছি; কিন্তু সিডিবিএলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে কেন তালিকাভুক্ত করার কথা বলছি না! সবার স্বার্থে সিডিবিএল তালিকাভুক্ত হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অর্থেই সিডিবিএল মুনাফা করছে। সুতরাং এই কোম্পানির মালিকানা পাওয়ার অধিকার জনগণের রয়েছে। আইনি জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আইন মানুষই তৈরি করে। আইনের সংশোধন অসম্ভব কিছু নয়।
এ বিষয়ে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী আমার দেশকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শেয়ারবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত না হওয়াই উচিত বলে মনে করি। সিডিবিএল যেহেতু প্রত্যেকটা বিও একাউন্ট, শেয়ার লেনদেনের তথ্যের হিসাব রাখে সেক্ষেত্রে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে পর্ষদকে বিনিয়োগকারীদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। এতে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে সিডিবিএল প্রতিষ্ঠিত হয়। সিডিবিএলের মূল কাজ হলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের তথ্য ও হিসাব সংরক্ষণ রাখা।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১২ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২৬ মিনিট আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে