অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাইরের দেশ থেকে ধার করে নিয়ে আসা টাকা মজমা বা স্বপ্নের পোলাও খাওয়ার মতো নয় যে, যত ইচ্ছা ঘি ঢালব।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সম্পদ। এখন বেশি গুরুত্ব দিতে হবে নিজস্ব স্থানীয় সম্পদের প্রতি। কারণ দেশের বাইরে থেকে ধার (ঋণ) আনা হয়। এতে কিছুটা অনুদান পাওয়া যায়। কিন্তু ধারের টাকায় অনেক রকম সুদ দিতে হয়। এই ঋণের টাকা মজমা বা স্বপ্নের পোলাও খাওয়ার মতো না। এমন না যে, স্বপ্নের পোলাও খাব, যত ইচ্ছা ঘি ঢালব, ঋণে কোনো সুদ নেই। ব্যাপারটা এরকম নয়, বাইরের থেকে ঋণ নিলে সুদ দিতে হয়। তাই ঋণের টাকায় বেশি দূর এগোনো যায় না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য ভ্যাট একটি মডার্ন সিস্টেম। এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। যদিও জিডিপির তুলনায় ভ্যাট অত্যন্ত কম।’
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট আদায়ের সিস্টেম যেন খুব সহজ হয়। ভ্যাট যেন সরকারের কোষাগারে পৌঁছায়। বিদেশে ভ্যাট প্রদান ছাড়া ক্রয় করা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে একটা দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আদায় হলেও ভ্যাট সরকারের কোষাগারে অনেক সময় পৌঁছায় না।’
কর জিডিপি অনেক কম উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘নিজের সম্পদ না বাড়ালে কাজ করব কীভাবে। রাজস্ব বাড়াতে হবে। কোনো কোনো দেশে কর জিডিপি অনুপাত ২৬ শতাংশ। কারণ সে দেশে জনগণ সেবাও সঠিকভাবে পায়। নিজেদের দেশে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে যদি হাসপাতাল ও শিক্ষায় সেবা পাওয়া যায়, তাহলে মানুষ স্বেচ্ছায় রাজস্ব দিতে এগিয়ে আসবে।’
ভ্যাটের পরিধি বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এনবিআরের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্পূরক শুল্ক কমানো দরকার। না হলে বেশি দূর আগানো যাবে না। কর দিলাম, সেবা পাব না, কর দিলে কী লাভ হলো—এই প্রশ্ন যেন করতে না পারে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে ও থাকবে।’


সেবা নিশ্চিত করলে জনগণ ট্যাক্স দিবে: অর্থ উপদেষ্টা