আগস্টে গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৮.২৯ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৮
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৪

চলতি অর্থবছরের মাস আগস্টে মূল্যস্ফীতি আরও কমে ৮.২৯ শতাংশ হয়েছে। তবে এ সময় খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সিপিআই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবিএসের প্রতিবেদনে অনুসারে, আগস্টে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমেছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে গড় মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে বেড়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছিল। তবে এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে, জুলাইয়ে যা ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল।

মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৯ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের আগস্টে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল ২০২৫ সালের আগস্টে সে পণ্য ১০৮ টাকা ২৯ পয়সায় কিনতে হয়েছে।

আগস্টে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এ সময় খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে। আগের মাসেও তা ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি গত কয়েক মাস ধরে কমছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের জুনে ৯.০৫ শতাংশ থেকে কমে ৮.৪৮ শতাংশ হয়েছে, যা গত ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। এর প্রধান কারণ ছিল খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় পণ্যের দাম কমে যাওয়া।

২০২৫ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৮.৫৫ শতাংশ হয়, যা আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে, এই সামান্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও, সামগ্রিক প্রবণতা এখনও নিম্নমুখী।

আগের মাসগুলোতে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কমে জুন মাসে ৭.৩৯ শতাংশে নেমে আসে, যা আগের মাস মে-তে ছিল ৮.৫৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের দাম কমার কারণে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।

​সাম্প্রতিককালে মূল্যস্ফীতি কমার পেছনে প্রধান কারণ হলো সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিগত পদক্ষেপ। এর মধ্যে রয়েছে- টাকার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা, কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো, বাজার নজরদারি বাড়ানো।

​অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এখনও চ্যালেঞ্জে রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত