১০ গ্রুপসহ হাসিনা পরিবারের তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৪০

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার ও ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৃহস্পতিবার দুদক, সিআইডি, এনবিআর ও বিএফআইইউর সমন্বয়ে গঠিত অনুসন্ধান টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে কাজ করছে গঠিত টিমগুলো। সমন্বিতভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান শাহিনুল ইসলাম, উপ-প্রধান এ কে এম এহসান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী ও কবির হোসেন।

সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানের জন্য ১১টি যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেসব দল আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তদন্ত করবে। তাদের আগামী সপ্তাহ থেকে তদন্ত কমিটিগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিস শুরু করবে। তাদের জন্য আলাদা স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমের অগ্রতিতে সন্তুষ্ট গভর্নর। পরে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর এবং তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন আহসান এইচ মনসুর।

শেখ হাসিনার পরিবারের ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্টের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো-সাইফুজ্জামান চৌধুরী (আরামিট গ্রুপ), এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, সিকদার, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন ও নাবিল গ্ৰুপ। এসব গ্রুপের মালিক, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান‌ও তদন্তের আওতায় থাকবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব হারানো ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে তদন্ত দল। শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গেই তার দুর্নীতি, অর্থপাচার, ঘুষবাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে দলটি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত