টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতির কারণে নিজের মূল কাজ বিশেষ করে নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিবিএসের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বিবিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প সংস্কৃতি বিবিএসের মূল কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের জরিপ দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কাজের প্রবণতা বেড়েছে।
এতে বলা হয়, রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা, জটিল আমলাতান্ত্রিক কাঠামো এবং বহিরাগত অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবিএসের ডেটা প্রকাশের সংস্কৃতি বিলম্বিত ও বিকৃত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিবিএস এমন এক প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিশক্তি দুর্বল করেছে, অস্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে এবং সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির ফলে মাঠপর্যায়ে দুর্বলতা তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরের দিকে তহবিল অনিশ্চয়তার কারণে বিবিএসকে দাতানির্ভর হতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা প্রকল্প সংস্কৃতিতে পরিণত হয়। এই সংস্কৃতি ‘ডেটা সাইলো’ তৈরি করেছে, বহিরাগতভাবে চাপানো পদ্ধতি চালু করেছে এবং ব্যুরোর বাজেট ব্যবস্থায় অদক্ষতা ও অপচয় বাড়িয়েছে।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান জানান, বিবিএসকে একটি আধুনিক, পেশাদার ও স্বাধীন জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থায় রূপান্তরিত করতে হলে প্রকল্পনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে একটি স্থায়ী কাঠামো ও নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ (এসআইডি) গত ২৮ এপ্রিল আট সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করে। এর দায়িত্ব ছিল বিবিএসের মান, স্বচ্ছতা, জরিপ পদ্ধতি ও সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিএস রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ছে। এতে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও সময়োপযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে।
টাস্কফোর্স বলেছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি। এটি সরকারের প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, জবাবদিহি, সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ ও সামাজিক আলোচনা সচল রাখতে সহায়তা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা তখনই তৈরি হবে, যখন তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে পেশাদার ও স্বচ্ছভাবে তৈরি হবে।
টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি টাস্ক টিম গঠন করা হোক, যারা প্রতিবেদন বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও গতিশীল করবে।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি, এই বিশ্লেষণ ও সুপারিশগুলো বিবিএসকে একটি সত্যিকারের শক্তিশালী ও স্বাধীন পরিসংখ্যান সংস্থায় পরিণত করবে, যা রাষ্ট্র ও নাগরিক উভয়েরই কল্যাণে কাজ করবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতির কারণে নিজের মূল কাজ বিশেষ করে নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিবিএসের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বিবিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প সংস্কৃতি বিবিএসের মূল কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের জরিপ দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কাজের প্রবণতা বেড়েছে।
এতে বলা হয়, রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা, জটিল আমলাতান্ত্রিক কাঠামো এবং বহিরাগত অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবিএসের ডেটা প্রকাশের সংস্কৃতি বিলম্বিত ও বিকৃত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিবিএস এমন এক প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিশক্তি দুর্বল করেছে, অস্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে এবং সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির ফলে মাঠপর্যায়ে দুর্বলতা তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরের দিকে তহবিল অনিশ্চয়তার কারণে বিবিএসকে দাতানির্ভর হতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা প্রকল্প সংস্কৃতিতে পরিণত হয়। এই সংস্কৃতি ‘ডেটা সাইলো’ তৈরি করেছে, বহিরাগতভাবে চাপানো পদ্ধতি চালু করেছে এবং ব্যুরোর বাজেট ব্যবস্থায় অদক্ষতা ও অপচয় বাড়িয়েছে।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান জানান, বিবিএসকে একটি আধুনিক, পেশাদার ও স্বাধীন জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থায় রূপান্তরিত করতে হলে প্রকল্পনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে একটি স্থায়ী কাঠামো ও নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ (এসআইডি) গত ২৮ এপ্রিল আট সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করে। এর দায়িত্ব ছিল বিবিএসের মান, স্বচ্ছতা, জরিপ পদ্ধতি ও সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিএস রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ছে। এতে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও সময়োপযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে।
টাস্কফোর্স বলেছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি। এটি সরকারের প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, জবাবদিহি, সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ ও সামাজিক আলোচনা সচল রাখতে সহায়তা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা তখনই তৈরি হবে, যখন তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে পেশাদার ও স্বচ্ছভাবে তৈরি হবে।
টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি টাস্ক টিম গঠন করা হোক, যারা প্রতিবেদন বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও গতিশীল করবে।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি, এই বিশ্লেষণ ও সুপারিশগুলো বিবিএসকে একটি সত্যিকারের শক্তিশালী ও স্বাধীন পরিসংখ্যান সংস্থায় পরিণত করবে, যা রাষ্ট্র ও নাগরিক উভয়েরই কল্যাণে কাজ করবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
৯ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
১ দিন আগে