অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দেশের ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সাল শেষে দুর্দশাগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে ছিল চার লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বেড়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণের মধ্যে আছে খেলাপি ঋণ, পুনঃতফসিল করা ঋণ ও অবলোপনকৃত ঋণ বা রাইট-অব ঋণ।
মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়মের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ এখন খেলাপি হচ্ছে। আগে এসব তথ্য লুকিয়ে রাখা হলেও এখন তা বেরিয়ে আসছে। ফলে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা মোট ঋণের ৪৪ দশমিক ২১ শতাংশই দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ। তার আগের বছর এ হার ছিল প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত বছর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা এবং রাইট-অব ঋণ ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। খেলাপি, পুনঃতফসিল ও অবলোপনকৃত ঋণকে ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ হিসেবে দেখায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্তের অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের তথ্য প্রকাশ করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক খাতের ঝুঁকিতে থাকা সম্পদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে খেলাপি ঋণের পাশাপাশি দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দেশের ব্যাংক খাত চরম চাপের মুখে পড়ে। বিশেষ করে মূলধন পর্যাপ্ততার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। এছাড়া মূলধন ঝুঁকিজনিত সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) ভয়াবহভাবে কমে গিয়ে মাত্র ৩.০৮ শতাংশে নেমে আসে, যা নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে। এ সংকটের মূল কারণ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংকগুলোর দুর্বল মূলধন ভিত্তি। একইসঙ্গে মূলধন অনুপাত ও লিভারেজ অনুপাত মারাত্মক হারে কমে গিয়ে মাত্র ০.৩০ শতাংশে নেমে আসে, যা গোটা ব্যাংক খাতের কাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে তোলে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলেছে, এ সংকটের মাঝেও বেশিরভাগ ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। যদিও ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্যে কিছুটা দুর্বলতা দেখা যায়। অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) সামান্য বেড়ে ৮১.৫৫ শতাংশে দাঁড়ালেও তা এখনো সীমার মধ্যেই রয়েছে।
২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আর্থিক খাত স্থিতিশীল থাকলেও খেলাপি ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ এবং সুশাসনের ঘাটতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সময়মতো নীতি পদক্ষেপ, শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিনির্ভর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা টেকসই করা সম্ভব হবে।
দেশের ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সাল শেষে দুর্দশাগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে ছিল চার লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বেড়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণের মধ্যে আছে খেলাপি ঋণ, পুনঃতফসিল করা ঋণ ও অবলোপনকৃত ঋণ বা রাইট-অব ঋণ।
মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়মের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ এখন খেলাপি হচ্ছে। আগে এসব তথ্য লুকিয়ে রাখা হলেও এখন তা বেরিয়ে আসছে। ফলে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা মোট ঋণের ৪৪ দশমিক ২১ শতাংশই দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ। তার আগের বছর এ হার ছিল প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত বছর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা এবং রাইট-অব ঋণ ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। খেলাপি, পুনঃতফসিল ও অবলোপনকৃত ঋণকে ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ হিসেবে দেখায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্তের অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের তথ্য প্রকাশ করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক খাতের ঝুঁকিতে থাকা সম্পদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে খেলাপি ঋণের পাশাপাশি দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দেশের ব্যাংক খাত চরম চাপের মুখে পড়ে। বিশেষ করে মূলধন পর্যাপ্ততার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। এছাড়া মূলধন ঝুঁকিজনিত সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) ভয়াবহভাবে কমে গিয়ে মাত্র ৩.০৮ শতাংশে নেমে আসে, যা নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে। এ সংকটের মূল কারণ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংকগুলোর দুর্বল মূলধন ভিত্তি। একইসঙ্গে মূলধন অনুপাত ও লিভারেজ অনুপাত মারাত্মক হারে কমে গিয়ে মাত্র ০.৩০ শতাংশে নেমে আসে, যা গোটা ব্যাংক খাতের কাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে তোলে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলেছে, এ সংকটের মাঝেও বেশিরভাগ ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। যদিও ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্যে কিছুটা দুর্বলতা দেখা যায়। অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) সামান্য বেড়ে ৮১.৫৫ শতাংশে দাঁড়ালেও তা এখনো সীমার মধ্যেই রয়েছে।
২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আর্থিক খাত স্থিতিশীল থাকলেও খেলাপি ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ এবং সুশাসনের ঘাটতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সময়মতো নীতি পদক্ষেপ, শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিনির্ভর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা টেকসই করা সম্ভব হবে।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১২ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২৫ মিনিট আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে