অর্থনৈতিক রিপোর্টার
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে এস আলম আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম। একইসঙ্গে এস আলম গ্রুপের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবিও জানান তারা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি তুলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী মো. মুস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হকস বে-এর চেয়ারম্যান ও বারভিডার সভাপতি আব্দুল হক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম, শিল্পোদ্যোক্তা আল মামুন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্য সচিব বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাংকে পরিণত হয়। গার্মেন্টস, বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ প্রায় ছয় হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং ৮৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে এ ব্যাংকের ভূমিকা ছিল অনন্য।
২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করে এবং বোর্ড দখল করে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তারা নিজেদের অনুগত ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের প্রশাসনকে দুর্বল করে ফেলে। এস আলম ব্যাংকের তহবিল থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে ব্যাংক মারাত্মক তারল্য সংকটে পড়ে এবং দেশের বড় শিল্পগ্রুপ ও ভালো গ্রাহকরা ব্যাংক ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, এস আলম ব্যাংকের মানবসম্পদ খাতেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কোন বিজ্ঞাপন বা পরীক্ষার মাধ্যমে নয় বরং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ৮ হাজার ৩৪০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থী পটিয়া এলাকা থেকে এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের। অনেকেই ভুয়া সনদপত্র ব্যবহার করে ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এসব অবৈধ নিয়োগের কারণে ব্যাংক প্রতিবছর প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে, যা সাত বছরে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে ব্যাংকের এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লোপাট—এই দুই সংকট মিলে ইসলামী ব্যাংক এখন টিকে থাকার সংগ্রামে রয়েছে।
ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, এস আলম পালিয়ে যাওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে এখনো অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বরখাস্ত করেনি। সম্প্রতি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে এসব কর্মকর্তা ব্যাংকের প্রতি অবাধ্যতা প্রকাশ করেছেন এবং অপপ্রচার চালাচ্ছেন—যা ব্যাংকের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
বক্তারা দাবি করেন, ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনো এস আলমের মালিকানায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তা জব্দ করলেও এখনও লিকুইডেশন প্রক্রিয়া শুরু করেনি—যা রহস্যজনক।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে এস আলম আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম। একইসঙ্গে এস আলম গ্রুপের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবিও জানান তারা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি তুলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী মো. মুস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হকস বে-এর চেয়ারম্যান ও বারভিডার সভাপতি আব্দুল হক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম, শিল্পোদ্যোক্তা আল মামুন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্য সচিব বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাংকে পরিণত হয়। গার্মেন্টস, বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ প্রায় ছয় হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং ৮৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে এ ব্যাংকের ভূমিকা ছিল অনন্য।
২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করে এবং বোর্ড দখল করে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তারা নিজেদের অনুগত ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের প্রশাসনকে দুর্বল করে ফেলে। এস আলম ব্যাংকের তহবিল থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে ব্যাংক মারাত্মক তারল্য সংকটে পড়ে এবং দেশের বড় শিল্পগ্রুপ ও ভালো গ্রাহকরা ব্যাংক ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, এস আলম ব্যাংকের মানবসম্পদ খাতেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কোন বিজ্ঞাপন বা পরীক্ষার মাধ্যমে নয় বরং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ৮ হাজার ৩৪০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থী পটিয়া এলাকা থেকে এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের। অনেকেই ভুয়া সনদপত্র ব্যবহার করে ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এসব অবৈধ নিয়োগের কারণে ব্যাংক প্রতিবছর প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে, যা সাত বছরে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে ব্যাংকের এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লোপাট—এই দুই সংকট মিলে ইসলামী ব্যাংক এখন টিকে থাকার সংগ্রামে রয়েছে।
ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, এস আলম পালিয়ে যাওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে এখনো অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বরখাস্ত করেনি। সম্প্রতি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে এসব কর্মকর্তা ব্যাংকের প্রতি অবাধ্যতা প্রকাশ করেছেন এবং অপপ্রচার চালাচ্ছেন—যা ব্যাংকের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
বক্তারা দাবি করেন, ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনো এস আলমের মালিকানায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তা জব্দ করলেও এখনও লিকুইডেশন প্রক্রিয়া শুরু করেনি—যা রহস্যজনক।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে