ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসার জন্য বাধা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ০৩
ফাইল ছবি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসার জন্য বাধা। এই উচ্চ সুদহার পীড়াদায়ক, তবে এটি প্রয়োজনীয় পীড়া।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে এমসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গত সরকারের শাসনে তৈরি করা অপশাসন ভুলে যাওয়ার মতো না। বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ সঠিক সময়ে কঠোর মুদ্রানীতি প্রণয়নের জন্য। এই মুদ্রানীতি পীড়াদায়ক, তবে এটি প্রয়োজনীয় পীড়া।

অনুষ্ঠানে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার আলম চৌধুরী পারভেজ অভিযোগ করেছেন এ সরকারের আমলে কেউ গ্যাস পায়নি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের আমলে কেউ গ্যাস পায়নি অর্থাৎ কারো প্রতি অবিচার করা হয়নি। আগের সরকারের আমলে তো কেউ পেয়েছেন কেউ পায়নি। আপনারা আগের সরকারের সময় এ নিয়ে একটি কথাও তো বলেননি।

দেশের ব্যবসা পরিবেশ উন্নত না হওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা ব্যয় শুধু সরকারের কারণেই বাড়ে না, দক্ষতার অভাবেও বাড়ে। নিরীক্ষা ভুল হয়েছে বললেই শুধু পার পাওয়া যাবে না, কীভাবে নিরীক্ষা হয়েছে সেটিও দেখার বিষয়।

এর আগে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ব্যবসায়ীদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে, কিন্তু কেউ জানে না।

ব্যবসা শুরু করতে গেলে জমি পাওয়া মুশকিল। জমির প্রাপ্যতা সহজ করা দরকার। অর্থায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। শিল্পে কেউই গ্যাস পাচ্ছে না। উৎসে কর দিতে দিতে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, বেনাপোল-চট্টগ্রাম বন্দরের সমস্যা বাড়ছেই। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বেড়েছে। ঋণের সুদ ৯ থেকে ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে। সুদহার কখন কমবে তার নিশ্চয়তা নেই। মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। এসব কারণে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানিয়ে ফিকির সাবেক সভাপতি রূপালী চৌধুরী বলেন, ব্যবসা করতে যেসব সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় সেগুলোর সমাধান বের করতে হবে। এইচএস কোডের সমস্যা এখনও সমাধান হয়নি। কাস্টমসের হয়রানি এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবক্ষেত্রেই অটোমেশন জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সব ব্যবসায়ী তো খারাপ নয়। সবাই টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়নি। ব্যবসায়ীদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।

রূপালী চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে উদ্যোক্তাদের ইউটিলিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। এটা খুবই অযৌক্তিক।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত