এম এ নোমান
দেশে বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে বড় উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করা হবে ৫৫টি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বা সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইতোমধ্যে এর দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় থাকায় দেশীয় অর্থায়নে এটি সম্ভব নয়, তাই বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর সে অর্থায়নের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকায় মিলছেন না বিনিয়োগও।
ফ্যাসিবাদী সরকারও এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নামে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ও বিদেশি বিনিয়োগ এনে আত্মসাৎ করায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। এ কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে পুরো প্রকল্প। জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আগের পরিকল্পনাটি স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি নিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পাঁচ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াটের ৫৫টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে চারটি প্যাকেজে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। প্রথম ধাপে তেমন সাড়া পড়েনি। দ্বিতীয় ধাপেও ১০টি প্ল্যান্টের জন্য মাত্র ২১টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্র কম জমা হওয়ায় সময়সীমা পাঁচবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দরপত্র খোলার নির্ধারিত তারিখ ছিল গত ১৮ জুন।
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র জানায়, নতুন দরপত্রে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার চাওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল চাওয়া হয়েছে ৫৭ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রতি মেগাওয়াটের জন্য পাঁচ হাজার ডলার টেন্ডার সিকিউরিটি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভূমির জন্য স্থানীয় এসিল্যান্ড এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে।
দরপত্রের নথি থেকে জানা যায়, এককভাবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বিভিন্ন ক্ষমতার ২৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দরপত্র জমা দেয়। এককভাবে এটিই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া দেশ এনার্জি ৯টি, কনফিডেন্স সাতটি, বারাকা ছয়টি এবং মীর পাঁচটি। কক্সবাজার (উত্তর) ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত ৫০ মেগাওয়াট প্রস্তাবিত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, কর্ণফুলী-বারাকা শিকলবাহা কনসোর্টিয়াম এবং কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেড থেকে তিনটি দরপত্র পাওয়া গেছে। কক্সবাজার ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত আরেকটি প্ল্যান্টও একইভাবে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে দরপত্র পেয়েছে।
গোপালগঞ্জ প্ল্যান্টের জন্য (একটি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন) ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, দেশ এনার্জি, চাঁদপুর পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বিজনেস রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন ইনক ও চাংঝু ট্রিনা ইন্টেলিজেন্স এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগ থেকে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্ল্যান্টের জন্য (একটি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন) ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ছিল একমাত্র দরদাতা। জলঢাকা প্ল্যান্টটি ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, কনকর্ড প্রগতি কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এবং পিনাকেল ঝংবিংতাই ইন্টারন্যাশনাল বিডি লিমিটেড থেকে তিনটি দরপত্র পেয়েছে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেড স্থানীয় গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত ৫০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে।
বিবিয়ানা ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত প্ল্যান্টটি পিএইচএল-পিটিএল জেভি (প্যারামাউন্ট), দেশ এনার্জি চাঁদপুর পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং এমটিএল-সিএইচআই-পিসিএল-এমএসএল জেভি থেকে দরপত্র পেয়েছে। মুক্তাগাছা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত প্ল্যান্টের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ছিল একমাত্র দরদাতা আর শাহজিবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত প্ল্যান্টের জন্য এমটিএল-সিএইচআই-পিসিএল-এমএসএল জেভি ছিল একমাত্র দরদাতা।
খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর বিনিয়োগ থাকা সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো স্থগিত হওয়ায় নতুন করে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ আসছে না। এছাড়া এবারের দরপত্রে জমিসংক্রান্ত শর্তে বলা হয়, জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় এসিল্যান্ডের সনদ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। দরপত্রে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ অর্থ ডলারে এবং ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে, কিন্তু স্থানীয় অংশের জন্য কোনো মুদ্রাস্ফীতি অ্যাডজাস্টমেন্ট নেই। এসব বিবেচনায় যেসব উদ্যোক্তা দরপত্রে অংশ নিয়েছে, তাদের প্রস্তাবনাগুলো সঠিকভাবে যাচাই না হলে এ উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) প্রধান জ্বালানি বিশ্লেষক শফিকুল আলম আমার দেশকে বলেন, এ প্রকল্পে অবশ্যই বিদেশি অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে অর্থায়ন আনার চেষ্টা করবে। তবে বিনিয়োগকারীরা গ্যারান্টি পেলেই কেবল অর্থায়ন করবে, এটাই স্বাভাবিক। এগুলো ভালোভাবে তদারক করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরইএ) সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ আমার দেশকে বলেন, সৌরবিদ্যুতের দিকে যাওয়াটা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ দেশে প্রাকৃতি গ্যাসের উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে দেশ বড় ধরনের জ্বালানি সংকটের দিকে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সরকারকে বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে, সে কারণে আমাদের বিদেশি অর্থায়নকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ যাতে সহজ ও সাবলীল হয়, সেজন্য পলিসিগত পরিবর্তন আনতে হবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজাউল করিম আমার দেশকে বলেন, অনেক কোম্পানি দরপত্রে অংশ নিয়েছে। আমরা ইভ্যালুয়েশনের কাজ শুরু করেছি। একটি কোম্পানি একাধিক বিদুৎকেন্দ্রের জন্যও দরপত্রে অংশ নিতে পারছে। দরপত্রগুলো যাচাই-বাছাইয়ে বেশ কয়েকটি কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তাদের কাজ শেষে ফাইন্যান্সিয়াল কমিটি কাজ শুরু করবে। আশা করছি, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সঠিক ও যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পাবে।
দেশে বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে বড় উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করা হবে ৫৫টি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বা সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইতোমধ্যে এর দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় থাকায় দেশীয় অর্থায়নে এটি সম্ভব নয়, তাই বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর সে অর্থায়নের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকায় মিলছেন না বিনিয়োগও।
ফ্যাসিবাদী সরকারও এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নামে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ও বিদেশি বিনিয়োগ এনে আত্মসাৎ করায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। এ কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে পুরো প্রকল্প। জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আগের পরিকল্পনাটি স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি নিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পাঁচ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াটের ৫৫টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে চারটি প্যাকেজে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। প্রথম ধাপে তেমন সাড়া পড়েনি। দ্বিতীয় ধাপেও ১০টি প্ল্যান্টের জন্য মাত্র ২১টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্র কম জমা হওয়ায় সময়সীমা পাঁচবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দরপত্র খোলার নির্ধারিত তারিখ ছিল গত ১৮ জুন।
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র জানায়, নতুন দরপত্রে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার চাওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল চাওয়া হয়েছে ৫৭ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রতি মেগাওয়াটের জন্য পাঁচ হাজার ডলার টেন্ডার সিকিউরিটি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভূমির জন্য স্থানীয় এসিল্যান্ড এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে।
দরপত্রের নথি থেকে জানা যায়, এককভাবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বিভিন্ন ক্ষমতার ২৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দরপত্র জমা দেয়। এককভাবে এটিই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া দেশ এনার্জি ৯টি, কনফিডেন্স সাতটি, বারাকা ছয়টি এবং মীর পাঁচটি। কক্সবাজার (উত্তর) ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত ৫০ মেগাওয়াট প্রস্তাবিত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, কর্ণফুলী-বারাকা শিকলবাহা কনসোর্টিয়াম এবং কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেড থেকে তিনটি দরপত্র পাওয়া গেছে। কক্সবাজার ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত আরেকটি প্ল্যান্টও একইভাবে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে দরপত্র পেয়েছে।
গোপালগঞ্জ প্ল্যান্টের জন্য (একটি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন) ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, দেশ এনার্জি, চাঁদপুর পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বিজনেস রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন ইনক ও চাংঝু ট্রিনা ইন্টেলিজেন্স এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগ থেকে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্ল্যান্টের জন্য (একটি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন) ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ছিল একমাত্র দরদাতা। জলঢাকা প্ল্যান্টটি ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, কনকর্ড প্রগতি কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এবং পিনাকেল ঝংবিংতাই ইন্টারন্যাশনাল বিডি লিমিটেড থেকে তিনটি দরপত্র পেয়েছে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেড স্থানীয় গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত ৫০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে।
বিবিয়ানা ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত প্ল্যান্টটি পিএইচএল-পিটিএল জেভি (প্যারামাউন্ট), দেশ এনার্জি চাঁদপুর পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং এমটিএল-সিএইচআই-পিসিএল-এমএসএল জেভি থেকে দরপত্র পেয়েছে। মুক্তাগাছা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত প্ল্যান্টের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ছিল একমাত্র দরদাতা আর শাহজিবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত প্ল্যান্টের জন্য এমটিএল-সিএইচআই-পিসিএল-এমএসএল জেভি ছিল একমাত্র দরদাতা।
খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর বিনিয়োগ থাকা সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো স্থগিত হওয়ায় নতুন করে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ আসছে না। এছাড়া এবারের দরপত্রে জমিসংক্রান্ত শর্তে বলা হয়, জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় এসিল্যান্ডের সনদ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। দরপত্রে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ অর্থ ডলারে এবং ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে, কিন্তু স্থানীয় অংশের জন্য কোনো মুদ্রাস্ফীতি অ্যাডজাস্টমেন্ট নেই। এসব বিবেচনায় যেসব উদ্যোক্তা দরপত্রে অংশ নিয়েছে, তাদের প্রস্তাবনাগুলো সঠিকভাবে যাচাই না হলে এ উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) প্রধান জ্বালানি বিশ্লেষক শফিকুল আলম আমার দেশকে বলেন, এ প্রকল্পে অবশ্যই বিদেশি অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে অর্থায়ন আনার চেষ্টা করবে। তবে বিনিয়োগকারীরা গ্যারান্টি পেলেই কেবল অর্থায়ন করবে, এটাই স্বাভাবিক। এগুলো ভালোভাবে তদারক করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরইএ) সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ আমার দেশকে বলেন, সৌরবিদ্যুতের দিকে যাওয়াটা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ দেশে প্রাকৃতি গ্যাসের উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে দেশ বড় ধরনের জ্বালানি সংকটের দিকে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সরকারকে বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে, সে কারণে আমাদের বিদেশি অর্থায়নকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ যাতে সহজ ও সাবলীল হয়, সেজন্য পলিসিগত পরিবর্তন আনতে হবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজাউল করিম আমার দেশকে বলেন, অনেক কোম্পানি দরপত্রে অংশ নিয়েছে। আমরা ইভ্যালুয়েশনের কাজ শুরু করেছি। একটি কোম্পানি একাধিক বিদুৎকেন্দ্রের জন্যও দরপত্রে অংশ নিতে পারছে। দরপত্রগুলো যাচাই-বাছাইয়ে বেশ কয়েকটি কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তাদের কাজ শেষে ফাইন্যান্সিয়াল কমিটি কাজ শুরু করবে। আশা করছি, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সঠিক ও যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পাবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
২১ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে