নেগিটিভ ইক্যুয়িটি এবং অনরিয়েলাইজ লসের বিপরীতে প্রভিশনিং সমন্বয়ে আরও সময় পেয়েছে পুঁজিবাজারে মধ্যস্ততাকারী আরও ১১ প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় সময় বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফিনটা সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, জয়তুন সিকিউরিটিজ, বিডিবিএল ইনভেস্টমেন্ট, হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজ, জিএমএফ সিকিউরিটিজ, ওয়াইফাং সিকিউরিটিজ, বিআরবি সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট, মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট।
প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রভিশনিংয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে বিএসইসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। তবে সময় বাড়ানো হলেও সেটির দিনক্ষণ জানানো হয়নি।
এর আগে দুই দফায় ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের সময় বাড়িয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ পর্যন্ত মোট ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের নেগিটিভ ইক্যুয়িটি ও আনরিয়েরাইজ লসের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে সময় পেল।
তবে প্রভিশনিংকালীন সময়ে বেশ কিছু শর্তও পালন করতে হবে মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। প্রভিশন সমন্বয়ের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রৈমাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দিতে হবে।
এছাড়া নেগিটিভ ইক্যুইটি থাকা বিও অ্যাকাউন্টে নতুন কোনো শেয়ার কেনা যাবে না, তবে সমন্বয়ের জন্য বিক্রি করা যাবে। মার্জিন লোনের ওপর কোনো সুদ বা ব্যবস্থাপনা ফি চার্জ করা যাবে না। এই সময়কালে কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা বিতরণ করা যাবে না। নতুন করে নেতিবাচক ইকুইটি তৈরি করা যাবে না, আর যদি অনিবার্য পরিস্থিতিতে তৈরি হয়, তা চলতি অর্থবছরের মধ্যেই প্রভিশনিং করতে হবে।
পুঁজিবাজারে নেগেটিভ ইক্যুয়িটির কারণে সংকটের মুখে রয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলাররা। নেগেটিভ ইক্যুয়িটি এবং আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রভিশনিং করার নিয়ম থাকলেও পর্যাপ্ত আয় না থাকার কারণে সেটি পরিপালন করতে পারছে না পুঁজিবাজারের এসব প্রতিষ্ঠান। বিরাজমান মন্দা পরিস্থিতির কারণে সংকট ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের আগষ্ট পর্যন্ত ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের নিট নেগেটিভ ইক্যুয়িটির পরিমাণ ৬ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা এবং ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের নিট আনরিয়েলাইজড লসের পরিমাণ ২ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব নেগেটিভ ইক্যুয়িটি ও লসের বিপরীতে প্রভিশনিং করতে হবে।

