নগর দারিদ্র্য হ্রাসের পরিবর্তে সামগ্রিক উন্নয়নে জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘রুরাল লাইভলিহুড ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ রেসিলেন্স ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) উচ্চস্তরের এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এসডিএফকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাসে উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সতর্ক থাকতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আরো গ্রামীণ উদ্যোক্তা তৈরি, পরিবার কল্যাণে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নগর দারিদ্র্য হ্রাসের উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে সামগ্রিক উন্নয়নে আরো বেশি প্রচেষ্টা চালানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
এসডিএফের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব নাজমা মোবারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের (এফডি) সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের আরইএলআই প্রকল্পের সিনিয়র কৃষি বিশেষজ্ঞ এবং টাস্ক টিম লিডার সামিনা ইয়াসমিন এবং মূল বক্তা ছিলেন র্যাপিড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। স্বাগত বক্তব্য দেন এসডিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল আমিন।
এসডিএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অরিজিৎ চৌধুরীর পরিচালনায় কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে আরইএলআই প্রকল্পের পাঁচটি বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্র নিয়ে দলগত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা, এসডিএফ সুবিধাভোগী ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল আকর্ষণ ছিল এসডিএফের আরইএলআই প্রকল্পের দুই সুবিধাভোগীর জীবন বদলে দেওয়ার গল্প। এসডিএফের সহায়তায় তারা তাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছেন।

