
সরদার আনিছ

রবিশস্য চাষের ভরা মৌসুমে সারের জন্য দেশজুড়ে চলছে হাহাকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না কোথাও। তবে বাড়তি দামে কোনো কোনো স্থানে পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শস্য চাষে চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন কৃষক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে; সংকট ও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পকেট কাটছে দরিদ্র কৃষকদের।
অন্যান্য সার কিছু পরিমাণে মিললেও পটাশ একেবারেই মিলছে না। এতে সরিষা ও আলুসহ রবিশস্য চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সার না পাওয়ায় আলুবীজ বপনে বিলম্ব হওয়ায় ফলন কম হওয়াসহ দাম না পাওয়ার আশঙ্কা চাষিদের। তবে পটাশসহ কোনো সারের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উত্তরপাড়ার কৃষক মোকলেছুর রহমান আমার দেশকে বলেন, এ বছর রবি মৌসুমে সার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। খুচরা দোকানে গিয়ে সার কিনতে পারেননি। দোকানিরা সার ডিলারের কাছে যেতে বলেন। ডিলারের কাছে গেলে তাকে কৃষি অফিসের স্লিপ নিয়ে আসতে বলে। কষ্ট করে স্লিপ সংগ্রহ করে ডিলারের কাছে গেলেও ন্যায্য দামে কিনতে পারেননি। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই সার কিনতে হচ্ছে। সারের কৃত্রিম সংকটের কারণে চাষাবাদ নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
একই এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, টাকা দিয়ে সার কিনব, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। দামের কারণে এখনো জমিতে সার দিতে পারিনি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা যায়, সরকার ডিলারদের কাছে প্রতি কেজি টিএসপি ২৫, ডিএপি ১৯ ও এমওপি ১৮ টাকা দরে বিক্রি করছে। ডিলাররা প্রতি কেজিতে দুই টাকা লাভে কৃষকের কাছে বিক্রি করার কথা। আর এতে সরকার প্রতি কেজি সারে ৫৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু ডিলারদের কাছে সার না পেয়ে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
সরকার ৫০ কেজি টিএসপি সারের দাম নির্ধারণ করেছে এক হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে দুই হাজার ১০০ টাকায়। একই অবস্থা অন্য সারের ক্ষেত্রেও। এক হাজার ৫০ টাকার ডিএপি এক হাজার ৪০০ টাকায়, এক হাজার ৩৫০ টাকার ইউরিয়া এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪২০ টাকায়, এক হাজার টাকার এমওপি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়েই কৃষককে সার কিনতে হচ্ছে।
ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। ফলে আসন্ন শীত মৌসুমে রাজশাহী, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকের সরকারি ভর্তুকির সার নিয়ে তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেট। বেশি দামে বিক্রি করতে জেলার বাইরে সার পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
অভিযোগ উঠেছে, সরাসরি কৃষকের কাছে সার বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও অসাধু ডিলাররা সার উত্তোলনের পরপরই তা অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গোপনে বিক্রি করে দেন। সার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা মিলে তৈরি হয়েছে দুষ্টুচক্র। ফলে কৃষকরা ডিলারদের কাছে গিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার না পেয়ে বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনছেন। আবার কিছু কিছু ডিলার সার গোপনে গুদামে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
গত শুক্রবার পাটগ্রামের বাইপাস মোড়ে অবৈধভাবে বিক্রির সময় ৪১৬ বস্তা সার জব্দ করে বিসিআইসি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সার ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও জেলা কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে জেলার বাইরে পাচারের সময় ১৯৩ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৪২ বস্তা ইউরিয়া ও ৫১ বস্তা ডিএপি সার।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি অলিউর রহমান বলেন, এ সংকটের জন্য কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই দায়ী। তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, সার নিয়ে সমস্যা ছিল। দেশে সারের সংকট রাখব না।
তিনি বলেন, সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির তিনটি সভার মাধ্যমে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন থেকে কৃষক সরকার নির্ধারিত দামে সার পাবেন। সার বিক্রির দায়ভার থাকবে ডিলারের ওপর, আমরা ডিলারদেরই জবাবদিহির আওতায় আনব।
এদিকে সার ডিলারদের দাবি, তারা চাহিদার তুলনায় সার কম বরাদ্দ পাচ্ছেন। গুদাম থেকে সার উত্তোলন করে দোকানে আনার এক সপ্তাহের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কৃষক সার কিনতে এসে না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। এমনকি অনেক কৃষকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডাও হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী সারের কোনো সংকট নেই। কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতিমুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, নতুন সারনীতি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হবে। এতে ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরির সুযোগ পাবে না।
এদিকে বর্তমানে সারের যে সংকট, তার জন্য পুরাতন নীতিমালাকে অনেকাংশে দায়ী করেন ব্যবসায়ীরা।
ডিলার নিয়োগে নতুন নীতিমালা
বাস্তবায়নের দাবি
সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএডিসি সার ও বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ সোহেল বলেন, বর্তমানে সারের যে সংকট, তার জন্য পুরাতন নীতিমালা (২০০৯) অনেকাংশে দায়ী। বিএডিসি ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে থাকা ডিলারদের জন্য সমতার ভিত্তিতে একটি একক সমন্বিত নীতিমালার মাধ্যমে সব ধরনের সার বরাদ্দ ও বিতরণে বৈষম্য, জটিলতা এবং সমন্বয়হীনতা দূর করে ২০২৫-এর প্রস্তাবিত নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সারা দেশের সার ডিলারদের সিন্ডিকেট ভাঙতে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে। এতে আপত্তি জানান ডিলাররা।

রবিশস্য চাষের ভরা মৌসুমে সারের জন্য দেশজুড়ে চলছে হাহাকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না কোথাও। তবে বাড়তি দামে কোনো কোনো স্থানে পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শস্য চাষে চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন কৃষক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে; সংকট ও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পকেট কাটছে দরিদ্র কৃষকদের।
অন্যান্য সার কিছু পরিমাণে মিললেও পটাশ একেবারেই মিলছে না। এতে সরিষা ও আলুসহ রবিশস্য চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সার না পাওয়ায় আলুবীজ বপনে বিলম্ব হওয়ায় ফলন কম হওয়াসহ দাম না পাওয়ার আশঙ্কা চাষিদের। তবে পটাশসহ কোনো সারের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উত্তরপাড়ার কৃষক মোকলেছুর রহমান আমার দেশকে বলেন, এ বছর রবি মৌসুমে সার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। খুচরা দোকানে গিয়ে সার কিনতে পারেননি। দোকানিরা সার ডিলারের কাছে যেতে বলেন। ডিলারের কাছে গেলে তাকে কৃষি অফিসের স্লিপ নিয়ে আসতে বলে। কষ্ট করে স্লিপ সংগ্রহ করে ডিলারের কাছে গেলেও ন্যায্য দামে কিনতে পারেননি। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই সার কিনতে হচ্ছে। সারের কৃত্রিম সংকটের কারণে চাষাবাদ নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
একই এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, টাকা দিয়ে সার কিনব, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। দামের কারণে এখনো জমিতে সার দিতে পারিনি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা যায়, সরকার ডিলারদের কাছে প্রতি কেজি টিএসপি ২৫, ডিএপি ১৯ ও এমওপি ১৮ টাকা দরে বিক্রি করছে। ডিলাররা প্রতি কেজিতে দুই টাকা লাভে কৃষকের কাছে বিক্রি করার কথা। আর এতে সরকার প্রতি কেজি সারে ৫৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু ডিলারদের কাছে সার না পেয়ে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
সরকার ৫০ কেজি টিএসপি সারের দাম নির্ধারণ করেছে এক হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে দুই হাজার ১০০ টাকায়। একই অবস্থা অন্য সারের ক্ষেত্রেও। এক হাজার ৫০ টাকার ডিএপি এক হাজার ৪০০ টাকায়, এক হাজার ৩৫০ টাকার ইউরিয়া এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪২০ টাকায়, এক হাজার টাকার এমওপি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়েই কৃষককে সার কিনতে হচ্ছে।
ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। ফলে আসন্ন শীত মৌসুমে রাজশাহী, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকের সরকারি ভর্তুকির সার নিয়ে তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেট। বেশি দামে বিক্রি করতে জেলার বাইরে সার পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
অভিযোগ উঠেছে, সরাসরি কৃষকের কাছে সার বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও অসাধু ডিলাররা সার উত্তোলনের পরপরই তা অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গোপনে বিক্রি করে দেন। সার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা মিলে তৈরি হয়েছে দুষ্টুচক্র। ফলে কৃষকরা ডিলারদের কাছে গিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার না পেয়ে বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনছেন। আবার কিছু কিছু ডিলার সার গোপনে গুদামে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
গত শুক্রবার পাটগ্রামের বাইপাস মোড়ে অবৈধভাবে বিক্রির সময় ৪১৬ বস্তা সার জব্দ করে বিসিআইসি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সার ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও জেলা কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে জেলার বাইরে পাচারের সময় ১৯৩ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৪২ বস্তা ইউরিয়া ও ৫১ বস্তা ডিএপি সার।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি অলিউর রহমান বলেন, এ সংকটের জন্য কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই দায়ী। তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, সার নিয়ে সমস্যা ছিল। দেশে সারের সংকট রাখব না।
তিনি বলেন, সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির তিনটি সভার মাধ্যমে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন থেকে কৃষক সরকার নির্ধারিত দামে সার পাবেন। সার বিক্রির দায়ভার থাকবে ডিলারের ওপর, আমরা ডিলারদেরই জবাবদিহির আওতায় আনব।
এদিকে সার ডিলারদের দাবি, তারা চাহিদার তুলনায় সার কম বরাদ্দ পাচ্ছেন। গুদাম থেকে সার উত্তোলন করে দোকানে আনার এক সপ্তাহের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কৃষক সার কিনতে এসে না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। এমনকি অনেক কৃষকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডাও হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী সারের কোনো সংকট নেই। কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতিমুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, নতুন সারনীতি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হবে। এতে ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরির সুযোগ পাবে না।
এদিকে বর্তমানে সারের যে সংকট, তার জন্য পুরাতন নীতিমালাকে অনেকাংশে দায়ী করেন ব্যবসায়ীরা।
ডিলার নিয়োগে নতুন নীতিমালা
বাস্তবায়নের দাবি
সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএডিসি সার ও বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ সোহেল বলেন, বর্তমানে সারের যে সংকট, তার জন্য পুরাতন নীতিমালা (২০০৯) অনেকাংশে দায়ী। বিএডিসি ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে থাকা ডিলারদের জন্য সমতার ভিত্তিতে একটি একক সমন্বিত নীতিমালার মাধ্যমে সব ধরনের সার বরাদ্দ ও বিতরণে বৈষম্য, জটিলতা এবং সমন্বয়হীনতা দূর করে ২০২৫-এর প্রস্তাবিত নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সারা দেশের সার ডিলারদের সিন্ডিকেট ভাঙতে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে। এতে আপত্তি জানান ডিলাররা।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড.
৪ মিনিট আগে
কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজি আসার পথে নানান কারণে ক্রেতাদের চড়া দামে কিনতে হয়। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে তা সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার।
৩ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু আছে। এগুলো হলোপরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। এসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কাছাকাছি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে এক লাফে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকায়। আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।
২১ ঘণ্টা আগে