ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। গবেষণা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সেই সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য প্রয়োজন পারস্পরিক সহযোগিতা। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি।
বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) ২০২৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। জ্ঞান, গবেষণা, টেকসই ব্যবসা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে চতুর্থবারের মতো এ সেমিনারের আয়োজন করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। সম্মেলনটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ব্যবসা ও আইনের অগ্রগতি: উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের সমন্বয়।’
আইটিডি ২০২৫ সম্মেলনে বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারতের গবেষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে পরিবেশ, আইন, মানবাধিকার, করপোরেট গভর্ন্যান্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ-নৈতিকতা, টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবন নিয়ে গবেষকরা নিজেদের গবেষণা, মতামত ও চিন্তা তুলে ধরবেন। এবারের আইটিডি সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ১৯২টি গবেষণাপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১১৩টি বাছাই করা হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আইটিডি ২০২৫ আমাদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও টেকসই উন্নয়নের যাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি, আর এই সম্মেলন সেই সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।’
অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসনের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। এই সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা ও আলোচনাগুলো ভবিষ্যতের নীতি, শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে আইটিডি সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। আইটিডি সম্মেলনে জমা দেওয়া গবেষণাপত্রগুলো পরবর্তীতে গবেষণাভিত্তিক বিভিন্ন স্কোপাস জার্নালে প্রকাশিত হবে।
প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গবেষণাপত্রসমূহ পুরস্কৃত হবে।

