ঢাকা ফ্লো ফেস্টে ইউসিবি চেয়ারম্যান

সুস্থ শরীর ও সুন্দর মনই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৭

সবসময় ব্যস্ততার ছন্দে দৌড়ানো শহর ঢাকায় এক বিরল প্রশান্তি নেমে এসেছিল গুলশানের শাহাবুদ্দিন পার্কে। সংগীত, নৃত্য, যোগ ও ধ্যানের নরম সুরে মুখরিত সেই পার্কে ফিরে এসেছে ঢাকা ফ্লো ফেস্ট ২০২৫—এক উৎসব যা উন্মুক্ত আকাশের নিচে যোগব্যায়াম, নাচ, শিল্প আর সচেতন জীবনচর্চার সম্মিলন ঘটায়।

এই উৎসবে আধুনিক জীবনের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার আহ্বানে বহুমানুষের উপস্থিতিতে এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় দিনের “পার্টনার্স ইন ফ্লো” প্যানেল আলোচনায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)-এর চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, “ইউসিবি এখন নতুন উদ্যম ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে—যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মী, গ্রাহক ও সম্প্রদায়ের সুস্থতা ও কল্যাণই সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

আমি বিশ্বাস করি মানবিক সুস্থতা ও সচেতন জীবনদৃষ্টি ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।’’

তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় ইউসিবির সাম্প্রতিক স্থায়িত্ব-অভিযান—যেখানে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, “আজকের দিনে ‘ওয়েলনেস’ ও ‘সাসটেইনেবিলিটি’ আর আলাদা কোনো প্রকল্প নয়; এগুলোই আধুনিক প্রতিষ্ঠানের মূল দর্শন, যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে।”

সূর্য যখন গুলশানের আকাশরেখার ওপারে ঢলে পড়ছে, তখনও উৎসবের অংশগ্রহণকারীরা যোগম্যাট থেকে হাসির বৃত্তে, সুরের গভীরতা থেকে নীরব ধ্যানে—প্রবাহিত হচ্ছিলেন এক মননশীল ছন্দে। উপস্থিত অতিথিরা প্রশংসা করেন আয়োজকদের, যাঁরা এমন অনুপ্রেরণাদায়ী ও মননশীল পরিসর তৈরি করেছেন।

এখন প্রতি বছরই নিজের ছন্দে ফিরে আসে ঢাকা ফ্লো ফেস্ট। এটি কেবল একটি ওয়েলনেস ইভেন্ট নয়—এটি এক জীবনধারা, যা নগরবাসীকে মনে করিয়ে দেয় একটু থামতে, গভীরভাবে শ্বাস নিতে এবং নিজের সঙ্গে আবার সংযোগ স্থাপন করতে।

ইউসিবির জন্য এমন একটি উদ্যোগে অংশ নেওয়া কেবল পৃষ্ঠপোষকতা নয়, বরং এক বার্তা—
একটি আধুনিক ব্যাংক শুধু আর্থিক সাফল্যের জন্য নয়, বরং মানবিক ভারসাম্য, সামাজিক সম্প্রীতি ও টেকসই অগ্রগতির পক্ষেও দাঁড়াতে পারে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশ

গাজায় মৃত ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ধ্বংসস্তূপে এখনো লাশ

১৫ দিনে আফগানিস্তানে ফিরেছে দেড় লাখ শরণার্থী, নেপথ্যে কী

হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা: অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভু'ল ছিল

গণহত্যা ঢাকতে চ্যাটজিপিটি-গির্জা, কোটি ডলারের খেলা

তরুণরা সজাগ থাকলে আর কোনো শাসক ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারবে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত