বিশেষ প্রতিনিধি
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের শপথ পড়িয়ে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সংস্থাটির কর্মচারী ইউনিয়ন। ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে না বসিয়ে বাড়ি ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
রোববার সকাল ১০টার পর থেকে নগর ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন কর্মচারীরা।
ইশরাক সমর্থক ও কর্মচারী ইউনিয়নের টানা এই কর্মসূচির কারণে ১১ দিন ধরে সিটি করপোরেশনের সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে।
তারা ইশরাককে মেয়রদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আন্দোরনকারীদের ভাষ্য,‘মেয়র ছাড়া নগর ভবন চলতে পারে না।
জেবুন্নেসা বেগম নামে একজন আমার দেশকে বলেন,‘আমরা চাই ইশরাক হোসেনের শপথ অনুষ্ঠান করে তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হোক। ইশরাক হোসেন মেয়রের চেয়ারে বসলেই আমরা বাড়ি ফিরব। সে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।'
শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মসূচির কারণে নগরবাসী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন কী না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধলপুরের বাসিন্দা আমীর হোসেন নামের একজন বলেন, 'আমাদের আন্দোলনের কারণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে না। যারা নিয়ম অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করছে না, ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়াচ্ছে না। তাদের কারণেই আন্দোলন, তারাই এর জন্য দায়ী।'
ডিএসসিসির কর্মচারী আফরোজা হক বলেন, 'আদালত থেকে যে রায় এসেছে সেই রায়ের বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে চাচ্ছি, এটা শুধু আমাদের চাওয়া না। এটা ঢাকাবাসীর সবার চাওয়া। সরকার শপথ পড়ালেই আমরা কাজে ফিরব।'
রোববারও নগর ভবনের নিচতলার মূল প্রবেশপথসহ অন্য প্রবেশপথগুলোয় তালা দেয়া দেখা গেছে। নগর ভবনের মূল ফটকেও ঝুলছে তালা। পাশের পকেট গেইট নিয়ে মানুষজন ভেতরে যেতে পারছেন। তবে ফিরে যাচ্ছেন সেবা প্রার্থীরা।
নগর ভবনে ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এবং অঞ্চল-৪ এর কার্যালয়। কর্মসূচির কারণে অন্য কার্যালয়গুলোর মত ওই দু’টি কার্যালয়েও সেবা বন্ধ।
ঢাকার ওয়ারী থেকে আসা সালাহউদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের একটু সংশোধন করা দরকার ছিল। গত কয়েকদিন ধরে ঘুরছি। অফিসই খুলছে না। কাজটাও করতে পারছি না।'
নগর ভবনের মধ্যে অবস্থিত স্থানীয় সরকার বিভাগ অফিস ১৫ মে থেকে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া তখন থেকে অফিসে আসতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট মামলা খারিজ করে দেয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কী উদ্যোগ নেয় তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে সেদিন আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইশরাক। সে সময় শেষ হওয়ার পর ইশরাকের সমর্থকরা শনিবার আবার নগর ভবনে অবস্থান নেন।
এর আগে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। রায় পাওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার তাকে শপথ পড়ানো হতে পারে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আদালতের রায়ের কপি পেয়েছি। রায় অনুসারে ২৬ মের মধ্যে শপথ গ্রহণের বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে। করণীয় নির্ধারণে আমরা আলোচনা করছি। শিগগিরই সমাধান আসবে। তবে শপথের তারিখ নির্ধারণ করে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ২৬ তারিখের মধ্যেই হবে।’
এমএস
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের শপথ পড়িয়ে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সংস্থাটির কর্মচারী ইউনিয়ন। ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে না বসিয়ে বাড়ি ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
রোববার সকাল ১০টার পর থেকে নগর ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন কর্মচারীরা।
ইশরাক সমর্থক ও কর্মচারী ইউনিয়নের টানা এই কর্মসূচির কারণে ১১ দিন ধরে সিটি করপোরেশনের সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে।
তারা ইশরাককে মেয়রদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আন্দোরনকারীদের ভাষ্য,‘মেয়র ছাড়া নগর ভবন চলতে পারে না।
জেবুন্নেসা বেগম নামে একজন আমার দেশকে বলেন,‘আমরা চাই ইশরাক হোসেনের শপথ অনুষ্ঠান করে তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হোক। ইশরাক হোসেন মেয়রের চেয়ারে বসলেই আমরা বাড়ি ফিরব। সে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।'
শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মসূচির কারণে নগরবাসী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন কী না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধলপুরের বাসিন্দা আমীর হোসেন নামের একজন বলেন, 'আমাদের আন্দোলনের কারণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে না। যারা নিয়ম অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করছে না, ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়াচ্ছে না। তাদের কারণেই আন্দোলন, তারাই এর জন্য দায়ী।'
ডিএসসিসির কর্মচারী আফরোজা হক বলেন, 'আদালত থেকে যে রায় এসেছে সেই রায়ের বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে চাচ্ছি, এটা শুধু আমাদের চাওয়া না। এটা ঢাকাবাসীর সবার চাওয়া। সরকার শপথ পড়ালেই আমরা কাজে ফিরব।'
রোববারও নগর ভবনের নিচতলার মূল প্রবেশপথসহ অন্য প্রবেশপথগুলোয় তালা দেয়া দেখা গেছে। নগর ভবনের মূল ফটকেও ঝুলছে তালা। পাশের পকেট গেইট নিয়ে মানুষজন ভেতরে যেতে পারছেন। তবে ফিরে যাচ্ছেন সেবা প্রার্থীরা।
নগর ভবনে ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এবং অঞ্চল-৪ এর কার্যালয়। কর্মসূচির কারণে অন্য কার্যালয়গুলোর মত ওই দু’টি কার্যালয়েও সেবা বন্ধ।
ঢাকার ওয়ারী থেকে আসা সালাহউদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের একটু সংশোধন করা দরকার ছিল। গত কয়েকদিন ধরে ঘুরছি। অফিসই খুলছে না। কাজটাও করতে পারছি না।'
নগর ভবনের মধ্যে অবস্থিত স্থানীয় সরকার বিভাগ অফিস ১৫ মে থেকে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া তখন থেকে অফিসে আসতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট মামলা খারিজ করে দেয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কী উদ্যোগ নেয় তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে সেদিন আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইশরাক। সে সময় শেষ হওয়ার পর ইশরাকের সমর্থকরা শনিবার আবার নগর ভবনে অবস্থান নেন।
এর আগে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। রায় পাওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার তাকে শপথ পড়ানো হতে পারে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আদালতের রায়ের কপি পেয়েছি। রায় অনুসারে ২৬ মের মধ্যে শপথ গ্রহণের বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে। করণীয় নির্ধারণে আমরা আলোচনা করছি। শিগগিরই সমাধান আসবে। তবে শপথের তারিখ নির্ধারণ করে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ২৬ তারিখের মধ্যেই হবে।’
এমএস
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
১১ ঘণ্টা আগে