ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। স্বজনরা মঙ্গলবার বিকেলে ঢামেক মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। নিহত নারীর নাম রাশেদা আক্তার, বয়স ২২ বছর।
রাশেদা আক্তার মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। তিনি মৃত্যুর আগে ঢাকার মিরপুর এক নম্বর সেকশনের আনসার ক্যাম্প এলাকায় বসবাস করতেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার উপপরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে মৃতার স্বজনদের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বুধবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, মৃতার স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর একটি ছেলের সঙ্গে হেঁটে যেতে দেখা যায় রাশেদাকে। এর পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালে এসে নিহতের বড় বোন খালেদা আক্তার ও ভগ্নিপতি মো, মামুন অভিযোগ করেন, রাশেদা আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদেরই গ্রামের প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম। পরে মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছে বলে তাদের অভিযোগ।
তারা জানান, গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। শুনেছেন ঘটনার পরপরই নয়ন ইসলামের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। পরিবারের অভিযোগ, নয়ন ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রাশেদাকে বিরক্ত করত।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাশেদা আক্তার মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। গত ৭ ডিসেম্বর তিনি মিরপুরে বড় বোনের বাসায় ওঠেন এবং বোনের সঙ্গে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
বড় বোন খালেদা আক্তার বলেন, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যায়নি এবং সারাদিন বাসায়ও ছিল না। রাত আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে জানতে পারেন, ওই দিন রাতে প্রতিবেশী গ্রাম থেকে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিল। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, নয়ন ইসলাম রাশেদাকে হত্যা করে ঢামেক হাসপাতালে মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

