দ্রুত শনাক্ত করা গেলে কিডনি রোগী অর্ধেকে নামবে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ২০: ৫১

দেশে প্রায় তিন কোটি কিডনি রোগী। প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ নতুন করে অসংক্রামক এই জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন অনেকেই। যার বড় কারণ শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হওয়া। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ শনাক্ত করা গেলে প্রতিরোধের মাধ্যমে অর্ধেকে নেমে আসবে রোগীর সংখ্যা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজে ‘ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক এবং পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল মুকীত। ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম জিয়াউল হক সঞ্চালনায় উক্ত সিএমইতে ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, কনসালটেন্ট, মেডিকেল অফিসার এবং বিভিন্ন বর্ষের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ কিডনির বিভিন্ন রোগ। এদের মধ্যে অন্যতম ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি। বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ কিডনির বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, নেফ্রোটিক সিনড্রোমসহ বেশ কিছু কারণে কিডনি কার্যকারিতা হারাতে পারে। শুধু রক্তের সিরাম ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিন পরীক্ষা করেই কিডনি রোগ শনাক্ত করা যায়। এজন্য দরকার সচেতনতা। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এতে অর্ধেক রোগীই কমিয়ে আনা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকে ইউরিন পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে চিকিৎসকদেরও গাফিলতি রয়েছে। তারা কম টাকার পরীক্ষা দিতে চান না।’

ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কিডনি রোগের সাথে হৃদ্‌রোগ এবং ডায়াবেটিস জটিলতা থাকে। ফলে সকল জটিলতায় অসংখ্য মানুষ অকাল মৃত্যু বরন করেন। বর্তমানে কিডনির সকল রোগের আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সহজলভ্য। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, বাড়তি ওজন, ধূমপানসহ বিভিন্ন রিস্কফ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত