শাহবাগে অবরোধ, কাঁটাবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ১২
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ১৪

প্রাথমিকে চাকরি প্রত্যাশীদের শাহবাগ অবরোধের ফলে কাঁটাবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শাহবাগের অন্য সকল রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার দুপুরে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের কারণে সাময়িকভাবে কিছুটা দূরে সরে গেলেও আন্দোলনকারী চাকরি প্রত্যাশীরা আবারও শাহবাগ মোড়ে কাঁটাবনের দিকে যাওয়ার সড়কটিতে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে কাঁটাবন মুখী সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে তারা এই সড়কটি অবরোধ করে। পুলিশ প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে আসছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাদের চাকরিতে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে যাবেন না বলে জানান।

চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষকরা স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে।

এর আগে পুলিশ শাহবাগের অন্য রাস্তাগুলো থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার ফলে একটি বাদে অন্য সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ জনকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হবে কিনা এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছু বলতে পারেনি।

সর্বশেষ বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত শাহবাগের একটি সড়ক বাদে (শাহবাগ থেকে কাঁটাবন মুখী) ছাড়া অন্যান্য সড়কে যান চলাচল করলেও শাহবাগ মোড়ে কাঁটাবন মুখী সড়কের উপরে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে।

এর আগে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল পুলিশ।

পুলিশের রমনা ডিভিশনের ডিসি মাসুদ আলম আমার দেশকে জানান, শাহবাগের মতো ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করে মানুষকে কষ্ট না দিয়ে শহীদ মিনার সহ খালি খানে সমাবেশ করার অনুরোধ করেছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

তাদের দাবি, প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদান নিশ্চিত করা। এনটিআরসিএ-র নিবন্ধিত (১-১২তম ) নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা। এনটিআরসিএ-র নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ চক্রে (১ম-৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম দুর্নীতিজনিত কারণে তারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ থেকে ১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেস পৃথক করে এন্ট্রি লেভেল বয়স বিবেচনা করে এবং বিগত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এপিএস সাব্বির আহমেদের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন চান তারা। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক সব জটিলতা নিরসন করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত