স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগীরা বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।
গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার হাজিরার পরে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী জেলে ‘ডিভিশন’ (বিশেষ সুবিধা) পেতে পারেন। কিন্তু ‘সাব জেলের’ নামে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রতিক্রিয়া জানান, গুমের ভুক্তভোগী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান প্রমুখ।
আয়নাঘরে দীর্ঘ ৮ বছর গুমের শিকার আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, ‘অভিযুক্ত এসব সেনা কর্মকর্তা র্যাবে এসে এসব অপরাধে জড়িয়েছেন। তাদের সংখ্যা এক শতাংশও নয়। তাই তাদের অপকর্মের জন্য পুরো সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে নিন্দা করা সমীচীন নয়। এর দায়ভার পুরো সেনবাহিনীকে দেওয়া যাবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপ্রধান-সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান হবেন তাদের একটা বার্তা দিতে চাই- অন্যায়, জুলুম ও মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করে কেউ পার পেতে পারে না। সব অপরাধীকে বিচার পেতে হবে। তবে আমি এটিও দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- তারা সুবিচার পাক; তাদের যা বক্তব্য তারা যেন তা বলতে পারে। আদালত তাদের বক্তব্য শুনে যেন তাদের সুবিচার করে- আমি সেটাই চাইব।’
মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেন, ‘সেনানিবাসের ভেতরে ঘোষিত সাবজেলের কোড সঠিকভাবে অনুসরণ হচ্ছে কি না- সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে তারা কোনোভাবে কর্মরত সেনাসদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কি না- এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। অন্যথায় আমরা যারা ভুক্তভোগী ও সাক্ষী আছি, আমাদের জীবনের হুমকি থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসামিরা গ্রেপ্তার অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানকালে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা হবে খুবই আতঙ্কজনক বিষয়। তাই জেল কোড সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।’
জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে আর কোনোদিন যেন জনগণের মুখোমুখি করা না হয়- এমন প্রত্যাশা করে আরমান বলেন, ‘একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমার প্রত্যাশা, দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের দিয়ে যেন ভাড়াটে খুনির কাজ আর করা না হয়। আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনী যেন আর কোনোদিন কোনো শক্তির পুতুল না হয়ে যায়- সেটা এ বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের ব্যাপারে বৈষম্য করা ঠিক হবে না। অন্য আসামিদের মতোই তাদেরও জেলে রাখতে হবে। যেমনটা রাখা হচ্ছে গ্রেপ্তার আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। প্রয়োজনে তাদের ডিভিশন দেওয়া যেতে পারে।’
অভিযুক্তদের ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘তারা এসেছেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি যারা বিদেশে আছেন তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরে এনে হাজির করা হোক। এটাই আমার দাবি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান বলেন, ‘আজকে আমরা এ দিনটা দেখতে পারছি- এটা আপনাদের কারণে, দেশের মানুষের চাপের কারণে।’ তিনি বলেন, ‘আরো অনেক অপরাধী মুক্ত আছে। আমাদের মামলা সবার সঙ্গে। ওদের (অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা) যেন প্রিজন ভ্যানে না এনে, এসি রুমে না রেখে, অফিসার্স মেসের খাবার না খাইয়ে- আমাদের যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবে যেন রাখা হয়। কারণ, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।’
আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগীরা বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।
গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার হাজিরার পরে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী জেলে ‘ডিভিশন’ (বিশেষ সুবিধা) পেতে পারেন। কিন্তু ‘সাব জেলের’ নামে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রতিক্রিয়া জানান, গুমের ভুক্তভোগী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান প্রমুখ।
আয়নাঘরে দীর্ঘ ৮ বছর গুমের শিকার আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, ‘অভিযুক্ত এসব সেনা কর্মকর্তা র্যাবে এসে এসব অপরাধে জড়িয়েছেন। তাদের সংখ্যা এক শতাংশও নয়। তাই তাদের অপকর্মের জন্য পুরো সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে নিন্দা করা সমীচীন নয়। এর দায়ভার পুরো সেনবাহিনীকে দেওয়া যাবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপ্রধান-সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান হবেন তাদের একটা বার্তা দিতে চাই- অন্যায়, জুলুম ও মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করে কেউ পার পেতে পারে না। সব অপরাধীকে বিচার পেতে হবে। তবে আমি এটিও দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- তারা সুবিচার পাক; তাদের যা বক্তব্য তারা যেন তা বলতে পারে। আদালত তাদের বক্তব্য শুনে যেন তাদের সুবিচার করে- আমি সেটাই চাইব।’
মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেন, ‘সেনানিবাসের ভেতরে ঘোষিত সাবজেলের কোড সঠিকভাবে অনুসরণ হচ্ছে কি না- সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে তারা কোনোভাবে কর্মরত সেনাসদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কি না- এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। অন্যথায় আমরা যারা ভুক্তভোগী ও সাক্ষী আছি, আমাদের জীবনের হুমকি থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসামিরা গ্রেপ্তার অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানকালে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা হবে খুবই আতঙ্কজনক বিষয়। তাই জেল কোড সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।’
জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে আর কোনোদিন যেন জনগণের মুখোমুখি করা না হয়- এমন প্রত্যাশা করে আরমান বলেন, ‘একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমার প্রত্যাশা, দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের দিয়ে যেন ভাড়াটে খুনির কাজ আর করা না হয়। আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনী যেন আর কোনোদিন কোনো শক্তির পুতুল না হয়ে যায়- সেটা এ বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের ব্যাপারে বৈষম্য করা ঠিক হবে না। অন্য আসামিদের মতোই তাদেরও জেলে রাখতে হবে। যেমনটা রাখা হচ্ছে গ্রেপ্তার আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। প্রয়োজনে তাদের ডিভিশন দেওয়া যেতে পারে।’
অভিযুক্তদের ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘তারা এসেছেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি যারা বিদেশে আছেন তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরে এনে হাজির করা হোক। এটাই আমার দাবি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান বলেন, ‘আজকে আমরা এ দিনটা দেখতে পারছি- এটা আপনাদের কারণে, দেশের মানুষের চাপের কারণে।’ তিনি বলেন, ‘আরো অনেক অপরাধী মুক্ত আছে। আমাদের মামলা সবার সঙ্গে। ওদের (অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা) যেন প্রিজন ভ্যানে না এনে, এসি রুমে না রেখে, অফিসার্স মেসের খাবার না খাইয়ে- আমাদের যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবে যেন রাখা হয়। কারণ, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তাদের গুমের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার দৃষ্টান্ত, যা জবাবদিহিতা ও ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
৬ ঘণ্টা আগেএদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল চেয়ে বদিউল মজুমদারের আইনজীবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর চেয়ে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ করেন। এ সময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত মোট ১২ জন বিচারপতি এ মামলাটি শুনেছেন।...
৮ ঘণ্টা আগেআইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
১১ ঘণ্টা আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
১১ ঘণ্টা আগে