স্টাফ রিপোর্টার
জাল ভিসা তৈরি ও বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা জোসনা খাতুন ওরফে জোসনা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মীর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তিনি। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। এদিন আসামির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলো না। আসামির উদ্দেশ্য বিচারক বলেন, কিছু বলতে চান? জোসনা বলেন, আমরা গ্রাহকদের নিকট থেকে অর্ডার পেয়ে আরেকটা কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করাই। যার মাধ্যমে কাজ করেছি, সে আমার ৪৪ লাখ টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেছে। ওই প্রতিষ্ঠান জাল ভিসা দিয়েছে। আমি সাইফুল (বাদী) সাহেবকে বলেছি, কিছু সময় দেন। আপনার টাকা পরিশোধ করবো। কিন্তু উনি মামলা করে বসলেন। পরে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এরা একটা বড় প্রতারক চক্র। দীর্ঘ দিন ধরে এ কাজ করছে। পরে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই মামলার ঘটনার সাথে আসামি সরাসরি জড়িত। আসামি বিদেশে লোক পাঠানো ছাড়াও সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক পদায়নের লোভ দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। আসামির ঢাকাতে কোন স্থায়ী ঠিকানা নাই, সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকাতে বাসা ভাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে। পরে এলাকা ছেড়ে পলাতক হয়। আসামি ভাসমান হিসাবে চলাফেরা করে। আসামী একাধিক ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে এবং তার নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই চলছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাচ্ছি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামি জোসনা খাতুন ওরফে জোসনা সুলতানা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। জোসনা খাতুন ওরফে জোসনা সুলতানা সহ মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে একে অপরের সহযোগিতায় নিজেদের বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি মর্মে প্রকাশ করে। একই সাথে আসামিরা বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে ইউরোপের যে কোনো দেশে বৈধ ভিসা দিয়ে বিদেশে পাঠাতে পারবে বলে প্রচার করে আসছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মামলার বাদীর ছেলে ভিকটিম সাইফুল ইসলামকে জোসনা খাতুমসহ তার সহযোগী এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা ইতালি পাঠাবার জন্য বিশ লাখ টাকা দাবি করে। আসামিদের বিভিন্ন প্ররোচনায় বাদী তার ছেলেকে ইতালি পাঠাতে রাজি হয় এবং গত ৯ মার্চ তাদের অফিসে হাজির হয়। সেখানে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বাদী নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ২১শত ইউরো আসামি জোসনা খাতুনকে প্রদান করেন। বাকী টাকা বাদীর ছেলেকে ইতালি পাঠানোর পর আসামিরা গ্রহণ করবে মর্মে মৌখিক অঙ্গীকার করে। টাকা গ্রহণের গ্যারেন্টার হিসেবে আসামি জোসনা তার নিজ নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে বাদীকে প্রদান করে। আসামিরা টাকা গ্রহণ করার পর বাদীর ছেলেকে ইতালির একটি ভিসার স্টিকার সরবরাহ করেন।পরবর্তীতে আসামিদের কথামতো ও তাদের দেওয়া বিমান টিকিট নিয়ে বাদীর ছেলে গত গত ২২ এপ্রিল ইতালী যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে গিয়ে বোর্ডিং পাশ নিয়ে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানায় যে, বাদীর ছেলের ভিসাটি জাল।
পরবর্তীতে বাদী ও বাদীর ছেলে আসামিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আসামিরা ফোন বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পরে তাদের সাথে বাদী ফোনে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও আসামিরা টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
জাল ভিসা তৈরি ও বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা জোসনা খাতুন ওরফে জোসনা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মীর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তিনি। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। এদিন আসামির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলো না। আসামির উদ্দেশ্য বিচারক বলেন, কিছু বলতে চান? জোসনা বলেন, আমরা গ্রাহকদের নিকট থেকে অর্ডার পেয়ে আরেকটা কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করাই। যার মাধ্যমে কাজ করেছি, সে আমার ৪৪ লাখ টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেছে। ওই প্রতিষ্ঠান জাল ভিসা দিয়েছে। আমি সাইফুল (বাদী) সাহেবকে বলেছি, কিছু সময় দেন। আপনার টাকা পরিশোধ করবো। কিন্তু উনি মামলা করে বসলেন। পরে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এরা একটা বড় প্রতারক চক্র। দীর্ঘ দিন ধরে এ কাজ করছে। পরে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই মামলার ঘটনার সাথে আসামি সরাসরি জড়িত। আসামি বিদেশে লোক পাঠানো ছাড়াও সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক পদায়নের লোভ দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। আসামির ঢাকাতে কোন স্থায়ী ঠিকানা নাই, সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকাতে বাসা ভাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে। পরে এলাকা ছেড়ে পলাতক হয়। আসামি ভাসমান হিসাবে চলাফেরা করে। আসামী একাধিক ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে এবং তার নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই চলছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাচ্ছি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামি জোসনা খাতুন ওরফে জোসনা সুলতানা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। জোসনা খাতুন ওরফে জোসনা সুলতানা সহ মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে একে অপরের সহযোগিতায় নিজেদের বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি মর্মে প্রকাশ করে। একই সাথে আসামিরা বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে ইউরোপের যে কোনো দেশে বৈধ ভিসা দিয়ে বিদেশে পাঠাতে পারবে বলে প্রচার করে আসছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মামলার বাদীর ছেলে ভিকটিম সাইফুল ইসলামকে জোসনা খাতুমসহ তার সহযোগী এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা ইতালি পাঠাবার জন্য বিশ লাখ টাকা দাবি করে। আসামিদের বিভিন্ন প্ররোচনায় বাদী তার ছেলেকে ইতালি পাঠাতে রাজি হয় এবং গত ৯ মার্চ তাদের অফিসে হাজির হয়। সেখানে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বাদী নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ২১শত ইউরো আসামি জোসনা খাতুনকে প্রদান করেন। বাকী টাকা বাদীর ছেলেকে ইতালি পাঠানোর পর আসামিরা গ্রহণ করবে মর্মে মৌখিক অঙ্গীকার করে। টাকা গ্রহণের গ্যারেন্টার হিসেবে আসামি জোসনা তার নিজ নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে বাদীকে প্রদান করে। আসামিরা টাকা গ্রহণ করার পর বাদীর ছেলেকে ইতালির একটি ভিসার স্টিকার সরবরাহ করেন।পরবর্তীতে আসামিদের কথামতো ও তাদের দেওয়া বিমান টিকিট নিয়ে বাদীর ছেলে গত গত ২২ এপ্রিল ইতালী যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে গিয়ে বোর্ডিং পাশ নিয়ে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানায় যে, বাদীর ছেলের ভিসাটি জাল।
পরবর্তীতে বাদী ও বাদীর ছেলে আসামিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আসামিরা ফোন বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পরে তাদের সাথে বাদী ফোনে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও আসামিরা টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘ বছর গুমের শিকার ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেছেন, সেনানিবাসের ভেতরে যে সাবজেল রয়েছে সেখানে জেল কোড ফলো হচ্ছে কিনা, যাদের রাখা হয়েছে তারা কি কোনোভাবে সার্ভিং সেনা সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা, এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
১২ মিনিট আগেমানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামির বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে
৩৩ মিনিট আগেসেনা কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বিগত সাড়ে ১৫ বছরের বিভিন্ন সময় গুমের শিকার ভুক্তভোগীরা বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন। তারা বলেন, অভিযুক্ত সেনা অফিসাররা আইন অনুযায়ী জেলে ডিভিশন পেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে