সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করে। এর আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন ও দু’জন অভিভাবক ১০ ডিসেম্বর ওই রিটটি করেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ১৪ ডিসেম্বর বেঞ্চ রুলসহ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ উল্লেখিত আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ। আদেশের বিষয়টি জানিয়ে তিনি গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে পরীক্ষা হচ্ছে না। এ সংক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গত ১১ নভেম্বর স্মারকের (১৯ নভেম্বর স্বাক্ষরিত) কার্যক্রম স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ওই মেধা যাচাই পরীক্ষার আয়োজন, যা হাইকোর্টের গত ৩ নভেম্বর দেওয়া রায়ের লঙ্ঘন।’
বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বাদ দিতে চতুরতার সঙ্গে এ ক্ষেত্রে শুধু পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রও জানিয়েছে, একটা রিট বিচারাধীন থাকায় আপাতত প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা হচ্ছে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বর বাংলা, ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, ২৩ ডিসেম্বর গণিত এবং ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়ার কথা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা পরীক্ষা নেওয়ার কথা।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

