সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণ
স্টাফ রিপোর্টার
হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারপাশ। আতঙ্কিত মানুষ যে যেভাবে পারছে দিগবেদিক ছুটছেন। এরই মাঝে ভবনের ভেতরে ও বাইরে থাকা কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। আহতদের আত্মচিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা।
২০২৩ সালের ৭ মার্চ বিকেলে পুরান ঢাকার বংশালের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারান ২৬ জন। আহত হন অনেকেই। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে ৯ মার্চ বংশাল থানায় মামলা করে পুলিশ। তবে দুই বছর পার হলেও মামলার তদন্ত শেষ করতে পরেনি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। কবে শেষ হবে তদন্ত নেই কোনো সদুত্তর। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ২০ দফা সময় নেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে এখনও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় দিন গুণছেন তারা।
অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত শুরু করে বংশাল থানা পুলিশ। এরপর ডিবি পুলিশের হাত হয়ে তদন্তভার দেওয়া হয় সিটিটিসিকে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে ওই দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত আগামী ৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক এস. এম. রাইসুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। বাড়ির মালিক ভবনের গ্যাসের লাইনকে বাণিজ্যিক থেকে আবাসিক লাইনে রূপান্তর করার জন্য তিতাসের কাছে আবেদন করে। এ নিয়ে ফাইল চেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে তারা চিঠি দিয়ে বলেছে, ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিতাস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়া তদন্ত এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিতাস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে তদন্ত কাজটা শিগগিরই শেষ করতে পারব আশা করছি।
মামলায় অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৭ মার্চ গুলিস্তানের বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে সিদ্দিকবাজারের কুইন স্যানিটারি মার্কেটের সাততলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও সেখানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনী, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যমতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৬ জন মারা যান।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয় ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান, তার ভাই মতিউর রহমান ও মোতালেব মিন্টুকে। তাদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা সবাই জামিনে আছেন।
মামলার আসামি ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমানের আইনজীবী আব্দুল আওয়াল বলেন, ভবনটি তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। এখানে তাদের দুজন ছাড়াও আরো ১০ জন মালিক রয়েছে। ভবনের ভেতরে একটা বিস্ফোরণ ঘটছে। তবে কেন ঘটছে, তদন্তের পরই তা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার সময় তারা কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। সঠিক তদন্ত হলে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে এমনটাই আশা করছি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে ২০ দফা সময় নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন সিটিটিসি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আগামী ৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।
সেদিনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন মোমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নদী বেগম। তাদের স্বজন জয়নাল আবেদীন বলেন, দুই বছর পেরিয়ে গেল। আমাদের মতো কতজন তাদের স্বজন হারাল। এখনো বিচার পেলাম না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই আমরা।
হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারপাশ। আতঙ্কিত মানুষ যে যেভাবে পারছে দিগবেদিক ছুটছেন। এরই মাঝে ভবনের ভেতরে ও বাইরে থাকা কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। আহতদের আত্মচিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা।
২০২৩ সালের ৭ মার্চ বিকেলে পুরান ঢাকার বংশালের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারান ২৬ জন। আহত হন অনেকেই। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে ৯ মার্চ বংশাল থানায় মামলা করে পুলিশ। তবে দুই বছর পার হলেও মামলার তদন্ত শেষ করতে পরেনি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। কবে শেষ হবে তদন্ত নেই কোনো সদুত্তর। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ২০ দফা সময় নেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে এখনও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় দিন গুণছেন তারা।
অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত শুরু করে বংশাল থানা পুলিশ। এরপর ডিবি পুলিশের হাত হয়ে তদন্তভার দেওয়া হয় সিটিটিসিকে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে ওই দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত আগামী ৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক এস. এম. রাইসুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। বাড়ির মালিক ভবনের গ্যাসের লাইনকে বাণিজ্যিক থেকে আবাসিক লাইনে রূপান্তর করার জন্য তিতাসের কাছে আবেদন করে। এ নিয়ে ফাইল চেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে তারা চিঠি দিয়ে বলেছে, ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিতাস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়া তদন্ত এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিতাস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে তদন্ত কাজটা শিগগিরই শেষ করতে পারব আশা করছি।
মামলায় অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৭ মার্চ গুলিস্তানের বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে সিদ্দিকবাজারের কুইন স্যানিটারি মার্কেটের সাততলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও সেখানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনী, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যমতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৬ জন মারা যান।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয় ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান, তার ভাই মতিউর রহমান ও মোতালেব মিন্টুকে। তাদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা সবাই জামিনে আছেন।
মামলার আসামি ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমানের আইনজীবী আব্দুল আওয়াল বলেন, ভবনটি তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। এখানে তাদের দুজন ছাড়াও আরো ১০ জন মালিক রয়েছে। ভবনের ভেতরে একটা বিস্ফোরণ ঘটছে। তবে কেন ঘটছে, তদন্তের পরই তা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার সময় তারা কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। সঠিক তদন্ত হলে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে এমনটাই আশা করছি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে ২০ দফা সময় নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন সিটিটিসি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আগামী ৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।
সেদিনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন মোমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নদী বেগম। তাদের স্বজন জয়নাল আবেদীন বলেন, দুই বছর পেরিয়ে গেল। আমাদের মতো কতজন তাদের স্বজন হারাল। এখনো বিচার পেলাম না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই আমরা।
আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
৩৫ মিনিট আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
৪৩ মিনিট আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে