সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন সহযোগী রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২৮

দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের করা মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সহযোগী ও আরামিট পিএসির তিন এজিএমকে পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে দুর্নীতির পৃথক চার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন-* ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আরামিট পিএলসি এজিএম উৎপল পাল।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান আসামিদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করেন। এমন তথ্য পাওয়ার পর সাইফুজ্জামানসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রথমে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর পৃথক দুই মামলায় ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করি। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করে। শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন আদালত।

গত ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথকভাবে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদন বলা হয়, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসি এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আরামিট পিএলসি এজিএম উৎপল পালসহ ৮ জন ইউসিবি পিএলসির মহাখালী শাখার গ্রাহক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে চাপ ও ভয় ভীতি দেখিয়ে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারা অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ঋণ অনুমোদন করিয়ে ঘুষ গ্রহণ করে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিংসহ অন্যান্য ধারায় অপরাধ করেছেন। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরামিট গ্রুপের মালিক সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ আসামিরা তার কর্মচারী। তারা ভুয়া ঋণ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করে। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে বিদেশে সম্পত্তি ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেজন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।

অপর রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (বর্তমানে আইকনক্স সার্ভিসেস লিমিটেড)-এর চেয়ারম্যান আমিন আহম্মেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে কুলসুমের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টি করে ৬০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন।

এ লেনদেনে আরামিট গ্রুপের কর্মচারী ভুয়া প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহিদ ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মো. ফরিদ উদ্দিনদের সহযোগিতা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত