গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার' বিক্রির দায়ে বাজার থেকে সকল পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসাথে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন আলম এক মাসেরও বেশি সময় পলাতক থাকার পর আদালতে হাজির হয়ে দোষ স্বীকার করেন।
বুধবার স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বীথি এই আদেশ দেন।
নিম্নমানের গুড়া দুধ বিক্রির দায়ে এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন আলমের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল একই আদালত।
একমাসের বেশি সময় পলাতক থাকার পর বুধবার আদালতে হাজির হন মো. সাহাবুদ্দিন আলম। শুনানিতে নিম্নমানের গুড়া দুধ বাজারজাত করার দোষ স্বীকার করেন তিনি। দোষ স্বীকারের পর আদালত বাজার থাকা সকল গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার তুলে নিয়ে আদালত ও রাষ্ট্রপক্ষকে অবগত করার নির্দেশ দেন।
নামে ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার বলা হলেও গোয়ালিনীতে সিকিভাগও পায়নি জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার। বিএসটিআই এর মান অনুযায়ী দুধে, প্রোটিন ৩৪ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ।
উপাদানের কোনো সূচকেই পরিপূর্ণ মাত্রায় পাওয়া যায়নি ওই প্যাকেটজাত গুড়া দুধে। ল্যাব রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুগ্ধ চর্বির (ক্রিম) নির্ধারিত মান ৪২ শতাংশ অথবা তার উপরে থাকার কথা, সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ৭.৫৮ শতাংশ। আবার বিডিএস এর মান অনুযায়ী প্রোটিন ন্যূনতম ৩৪ শতাংশ থাকার কথা, সেখান পাওয়া গেছে মাত্র ৯.৫০ শতাংশ।
এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোহাং কামরুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এজাহারে এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন আলমকে এক নম্বর আসামি করা হয়। কোম্পানিটি গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার বাংলাদেশে মোড়কজাত ও বাজারজাত করে আসছে।

