সাত বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৫৭

আট বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ দণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

রায়ে পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সাত বছরের শিশুর কারো সাথে বিবাদ থাকতে পারে না। সাত বছরের শিশুকে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও পরে হত্যা সব নির্মমতাকে ছাড়িয়ে গেছে। এমন নিষ্ঠুরতা জন্য আসামিকে অনুকম্পা করার সুযোগ নেই। তাই এ ঘটনার জন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ রায়ে সন্তোষ জানিয়ে বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত।

তিনি আরো বলেন, রফিকুল ইসলাম কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ দিকে রায়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার কথা জানিয়ে ভিকটিম শিশুর পিতা মো. জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ আট বছর পর বিচার পেয়েছি। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানানচ্ছি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর ভোরে ভিকটিম সাত বছরের শিশুটি বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে ফেরার পথে শিশুটিকে ঘরের ভেতর ডেকে নেয় রফিকুল। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে দুই হাত পা বেঁধে মুখে কাপড় গুজে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামী রফিকুল ইসলাম। শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করে তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে কম্বল, লুঙ্গি দিয়ে পেঁচিয়ে ঘরের সানসেটের উপর লুকিয়ে রাখে। পরে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় জারিয়ার বাবা জাকির হোসেন পরদিন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত