শিক্ষক পদে সুপারিশ ৪১৬২৭ জনের, নিয়োগপত্র ১৮ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ২৮

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শূন্যপদে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম এ ফলাফল শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের হাতে তুলে দেন। পরে তিনি সুপারিশ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এসময় নতুন শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অনুকূলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্র দেবে। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগপত্র না দিলে প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রমতে, দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৮২২ টি শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। পরে ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। সে অনুযায়ী এক লাখ ৪২ টি পদের বিপরীতে ৫৭ হাজার ৮৪০ টি আবেদন জমা পড়ে। তাদের মধ্য থেকে ৪১ হাজার ৬২৭ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় ১২৫টি আবেদন বিবেচনা করেনি কর্তৃপক্ষ। এই সুপারিশের পরও ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্যই থাকছে বলে জানা গেছে।

এনটিআরসিএ জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ টেলিটকের ওয়েবসাইট http://ngi.teletalk.com.bd–এ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিয়োগপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

নিয়োগপত্র প্রদানের পূর্বে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি প্রার্থীর প্রাসঙ্গিক সনদ ও এনটিআরসিএর সুপারিশপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

শূন্যপদের তথ্য ভুল প্রদান, যোগ্যতা যাচাই ছাড়া যোগদানপত্র গ্রহণ, বা প্রতিষ্ঠানের কোনো আইনি জটিলতার কারণে কোনো সমস্যা হলে, তার সম্পূর্ণ দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না।

কোনো প্রার্থী ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তা যোগদানের সময় ধরা পড়লে তার নিয়োগ সুপারিশ বাতিল বলে বিবেচিত হবে। একইভাবে, পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনুপযুক্ত বিবেচিত হলে সুপারিশ বাতিল হয়ে যাবে।

প্রার্থী যোগদান করলে, যোগদানের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Joining Status’ অপশনে ‘Yes’ ক্লিক করে তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। যদি প্রার্থী যোগদান না করে, তাহলে ‘No’ ক্লিক করে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে।

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার জানান,

এবারের ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৮১ হাজার ২০৯ জন এবং উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন।

তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক চাহিদা প্রদান এবং নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ সুপারিশ এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি অধিক স্বচ্ছতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছি, যারা আগামী প্রজন্মকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, যারা সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের উপযুক্ত, তাদের তথ্য ডিজিটালি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আমি আশা করি, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ডিজিটাল রূপান্তর আগামী দিনগুলোতে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত