পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে কুয়েট উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ৪৪

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবার কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তারা 'এক দুই তিন চার, কুয়েট ভিসি গদি ছাড়','দফা এক দাবি এক কুয়েট ভিসির পদত্যাগ', 'বাহ ইন্টেরিম চমৎকার, বিএনপির পাহারাদার' প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন অচলাবস্থা কাটিয়ে হলে ঢুকতে চেয়েছে, তখন বিএনপিপন্থি উপাচার্য অধ্যাপক মাছুদ তাদের প্রতিহত করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের সাথে পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি। এ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দরকার হলে প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অনশনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি শুরু করবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, এ উপাচার্যের দ্রুত অপসারণ করুন। সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সবার প্রতিবাদের কণ্ঠ জারি থাকবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ছাত্রদল কী নব্য ছাত্রলীগ হয়ে উঠছে? জুলাই অভ্যুত্থানে যে সংস্কৃতি আমরা ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছি তা ছাত্রদল আবার ফিরিয়ে আনছে। আমরা বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দালাল উপাচার্য যেভাবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে কুয়েটের দালাল উপাচার্যকেও বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য হবে। অবিলম্বে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর থেকে বহিষ্কারাদেশ এবং মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। উপাচার্য পদত্যাগসহ এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সমাবেশ অংশ নেওয়া কুয়েটের শিক্ষার্থী জাহেদুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর যেখানে সন্ত্রাসমুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেখানে তার উল্টো হয়েছে। কুয়েটের বুকে নেমে এসেছে রক্তাক্ত জুলাই। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে অন্তত দেড়শ শিক্ষার্থী। আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার সহযোগিতা পেয়েও কোনো সাড়া পাইনি। প্রশাসন সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। এ প্রশাসন কাদের ছত্রছায়ায় আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশ যখন নববর্ষ উদযাপন করছিল, কুয়েট শিক্ষার্থীরা তখন কুকুর বিড়ালের মতো খোলা আকাশের নিচে ছিলেন। আমাদের নামে স্বর্ণ ছিনতাই সহ নানা অভিযোগ দিয়ে মামলা দিয়েছে। যে মামলার আসামি আমাকেও করা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি বলে এ নিপীড়নের শিকার। আপনি এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে আগামী দিনে আপনার ক্যাম্পাসও কুয়েটের মতো হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত