ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নয়, সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশও অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের ১১৩ নম্বর কক্ষে ‘ভূমিকম্প ও দুর্যোগ প্রস্তুতি সচেতনতা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট, সোসাইটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং সহযোগিতায় ছিল ইট’স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ডের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি প্রায়ই মানবসৃষ্ট দুর্যোগও দেখা যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের কেবল অবকাঠামোগত সক্ষমতা নয়, বরং সচেতনতা, পূর্বপ্রস্তুতি ও জনসম্পৃক্ততা গড়ে তুলতে হবে। সর্বস্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চর্চা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে আরও মানবিক হয়ে উঠতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক সময় পূর্বাভাস দিয়ে আসে, কিন্তু মানবসৃষ্ট দুর্যোগ হঠাৎ ঘটে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই একটি প্রস্তুত, সচেতন ও দায়িত্ববান সমাজ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সেন্টারের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. সাবিনা শরমীন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আল-আমীন হক এবং ইট’স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. আদনান হোসেন।
ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এবং ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে নতুন বাস্তবতা হাজির করছে। এখনই সময় কার্যকর প্রস্তুতির মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জনের।’
দিনব্যাপী কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ভূমিকম্পকালীন করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। এ ছাড়া ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক অপূর্ব স্বাতি মাহবুব এবং ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা বাস্তবভিত্তিক কৌশল ও সমাধান তুলে ধরেন।


বিমান বিধ্বস্ত: শিক্ষকের দেয়া ব্যাখ্যা তুলে ধরলো আইএসপিআর