জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৭
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৯

যুগোপযোগী উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়াব।

শুক্রবার গাজীপুরের মাওনায় একটি রিসোর্টে আয়োজিত "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ কনটেন্ট উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা ২২৫৭টি। যাতে অধ্যয়ন করছে ৩৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেশের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশ। এদের বেশিরভাগই মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পুরনো ও গতানুগতিক সিলেবাসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার পর এদের বেশিরভাগই বেকার থাকে। কারণ কারিগরী ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাব।

এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মত দক্ষ করে গড়ে তুলতে স্নাতক সম্মানে আইসিটি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আরো বলেন, দ্রুত বিভিন্ন পরীক্ষার ফল প্রকাশের লক্ষ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহারসহ প্রযুক্তিগত যেকোন উদ্যোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের চিফ অফ এডুকেশন দীপা শংকর।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে গৃহীত নানা ধরণের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতায় পর শিক্ষায় যথাযথ বিনিয়োগ না করায় দেশ এখনো সমসাময়িক অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তাই বিলম্ব হলেও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়ার সময় এখনই।

তিনি বলেন, আইসিটি কোর্সের শিক্ষাক্রম প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার পর সরকারের এটুআই ও ইউনিসেফের সার্বিক সহায়তায় এখন পর্যন্ত অর্জিত ফল খুবই ভাল। আশা করি খুব শিগগিরই এ শিক্ষাক্রম চালু করা সম্ভব হবে। যা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা যেকোন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার মত দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ৩ দিনের এ কর্মশালায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রফিক, পলিসি অ্যানালিস্ট আফজাল হোসেন সারওয়ার, হেড অফ প্রোগ্রাম আব্দুল্লাহ আল ফাহিম ও ইউনিসেফের এডুকেশন স্পেশালিস্ট রফিকুল ইসলাম সুজন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মোছাঃ সালমা পারভীনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমা তারা।

কর্মশালায় অনলাইন প্রশিক্ষণ ডিজাইন ও স্ক্রিপ্ট রাইটিং, প্রশিক্ষণ স্ক্রিন্ট ও কনটেন্ট ভ্যালিডেশন এবং অনলাইন প্রশিক্ষণের কনটেন্ট চূড়ান্তকরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

এতে অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের আইসিটি শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষক, অনলাইন প্রশিক্ষণ ডিজাইন ও কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ, এটুআই প্রোগ্রাম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত