পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি ও বেতন-ভাতা সংক্রান্ত চার দফা দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে নেমেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে দাবি পূরণের আশ্বাস না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ না হলে সারাদেশে একযোগে ১ ডিসেম্বর থেকে তারা কর্মবিরতি পালনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
'বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির 'সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেডভিত্তিক (ক্যাডার) পদসোপানের আলোকে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ'-এর ব্যানারে শিক্ষক নেতারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি থেকে যৌথভাবে এই কর্মসূচির ডাক দেন।
কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে আসা বেশিসংখ্যক শিক্ষকের সমাগম দেখা যায়। শিক্ষক নেতারা আগামী রোববার আবারও শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষকদের ঘোষিত মূল চার দফা দাবি হলো-সহকারী শিক্ষক পদটিকে এন্ট্রিপদ ধরে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশ; বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা; সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা এবং ২০১৫ সালের পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের ৩/২টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মো. আব্দুস সালাম, আসাদুজ্জামান নূর, শাহাবুদ্দিন মাহমুদ সালমী, মো. ওমর ফারুক, মোছা. শাহিন আরা, সিকান্দার আলী, আবু সাঈদ মোল্লা, মুজাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল্লাহ, লিয়েন আল মাসুম, সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মো. মুনিরুল ইসলাম মঞ্জু, রাফি আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান।
আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা জানান, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করা সত্ত্বেও তারা দীর্ঘকাল ধরে পদোন্নতি ও অন্যান্য ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

