শেকৃবির টিএসসি: শিবিরকে নিষেধ, ছাত্রদলে অনুমতি

সিরাজুদ্দৌলা আরাফাত, শেকৃবি
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫, ১৫: ০৯

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) টিএসসিতে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম আয়োজনে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসব প্রোগ্রাম আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতারও অভিযোগ তোলা হয়।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ মার্চ টিএসসিতে গণ সেহরির আয়োজন করে ছাত্রদল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নবীনবরণ করার অনুমতি চেয়েও পায়নি শিবির। এসব বিষয়ে শাখা শিবির সভাপতি আবুল হাসান বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রোগ্রামকে সাধুবাদ জানাই। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টিএসসিতে নবীনবরণ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের একটি প্রজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রোগ্রামটি করার অনুমতি দেয়নি। যদিও ইসলামী ছাত্রশিবির কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করেনা। আমরা বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে প্রোগ্রামটি করেছি। কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি ছাত্রদল টিএসসিতে গণসেহরির আয়োজন করেছে। তাদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিন্তু টিএসসিতে প্রোগ্রাম করার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের এই দ্বিমুখী আচরণে আমরা বিব্রত।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রদল ইতোমধ্যে প্রায় ১২ ধরনের প্রোগ্রাম করেছে। কয়েক মাসে শিক্ষকদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। কয়েকজন অধ্যাপক ছাত্রদলের ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন। বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা আয়োজনের সময় শেরেবাংলা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল লতিফকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এছাড়া ছাত্রদল বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন, মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান ও মিটিং করেছে। সর্বশেষ গণসেহরি কর্মসূচিতেও ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী এবং শেরেবাংলা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।

তবে শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবির কর্তৃক দুই দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব করতে গেলে বাধ সাধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান শুরুর প্রথম দিনই আয়োজন শেষ করতে চাপ প্রয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরমর্শক আশাবুল হক এবং প্রক্টর আরফান আলী।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আরফান আলী বলেন, তারা টিএসসিতে প্রোগ্রাম করেছে। এখানে প্রক্টর অফিসের অনুমতির দরকার হয় না। কনফারেন্স রুম বা এই রকম কিছু হলে প্রক্টর অফিসের অনুমতির দরকার ছিলো। তাছাড়া তারা তাদের আবেদনপত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করেছে।

ছাত্র পরামর্শক ও পরিচালক আশাবুল হক বলেন, তারা ১৯ ব্যাচের কোনো একটা প্রোগ্রামের কথা বলে অনুমতি নিয়েছিল। ছাত্রদলের বিষয়টা আমরা জানতাম না। পরে দেখি এখানে প্রোগ্রাম ছাত্রদল করছে। আমরা এটা আগে বুঝতে পারিনি। আর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম কি হচ্ছে তা দেখার জন্য। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে সাংবাদিককে সরাসরি দেখা করতে বলেন।

টিএসসি কমপ্লেক্সে প্রোগ্রামের অনুমতি ছিল কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, অনুমতির বিষয়ে জানি না। এগুলো জুনিয়রদের দায়িত্ব ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রোগ্রামে যেভাবে সাড়া দিয়েছে তা আমরা কল্পনাও করিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত