স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর গাবতলীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের’ ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. মকবুল আহমেদ খান।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ছেলে আহমেদ ফরহাদ খান তাকে সহ চারজনকে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বাদ দিয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের ষড়ষন্ত্র করছেন ওই সন্তান। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত নয়, জীবন শঙ্কায় নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী মকবুল আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করছি। এরইমধ্যে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। সবশেষ ২০২৩ সালে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি।
কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্টের পর কিছু শিক্ষার্থীর বিভিন্ন দাবি এবং আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে আমার ছেলে আহমেদ ফরহাদ খান (সাবেক ট্রাস্টি মেম্বর) জোর জবরদস্তি করে আমাকে পদত্যাগপত্র সই করিয়ে নেয়। পরে সে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় দখলের জন্য তার আশ্রিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা আমাকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না প্রায় এক বছর। আমি বারবার প্রবেশের চেষ্টা করেও পারিনি, সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমার অজান্তেই আহমেদ ফরহাদ খান অবৈধভাবে স্বাক্ষর এবং নথি জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ৪ জন সদস্যকে সম্পুর্ন অবৈধ পদ্ধতিতে অন্যায়ভাবে অপসারণ করে এবং তার স্ত্রী বি বি আয়েশা লুবনার দুইজন আত্মীয়কে ঢুকিয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে নেয়। যা সম্পূর্ণ ভুয়া, অবৈধ এবং অন্যায়। এদের মধ্যে উল্যেখযোগ্য হলেন— সাবেক জেলা জজ হেলাল চৌধুরী, যিনি তার বিচারবিভাগের সাবেক কাজের অভিজ্ঞতা এবং পাওয়ার খাটিয়ে এসব অন্যায়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করাচ্ছেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ইউনিভার্সিটির ভেতরে বসে নানা বেআইনি কাজ করে করছেন।
মকবুল আহমেদ বলেন, এই অবৈধ সদস্যদের অপসারনের প্রতিকার চেয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ বোর্ডকে অন্যায়ভাবে ভেঙে দিয়ে ৪ জনকে অপসারণ করে নতুন বোর্ডের অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, আমার ছেলে তার বোন, ভগ্নিপতি এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বুঝিয়ে এই অন্যায় দখলকাজে সম্পূর্ণরূপে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে প্রাণনাশসহ নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। আমার ব্যাপারে নানান মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নানা জায়গায় তা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এমনকি আমাকে পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও নানা দায়ীত্বশীল জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি শারিরীক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ, যা আমার নিয়মিত ডাক্তারি চেক আপেই প্রমাণিত।
এমতাবস্থায় আমি আমার জীবনের ঝুঁকি অনুভব করি এবং বেশ কিছুদিন থেকে নিজের বাসায় তাদের সঙ্গে অবস্থান করতেও চরম বিপদ অনুভব করে আমার ভাই সাবেক এমপি এমএইচ খান মঞ্জুর বাসায় অবস্থান করে কোনরূপ দিন পার করছি।
তিনি বলেন, আমার সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ সম্পদ বিনিয়োগ করে আমার স্বপ্নের প্রিয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠন করি। স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানই ছিল আমার প্রধান ইচ্ছা। বর্তমানে আমি এই চক্রান্ত ও চরম জুলুমের শিকার হয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই অবৈধ ট্রাস্টি বোর্ড তাদের ইচ্ছামত যাচ্ছেতাইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ আত্মসাৎ করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রতিকার দাবি করেছেন তিনি।
রাজধানীর গাবতলীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের’ ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. মকবুল আহমেদ খান।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ছেলে আহমেদ ফরহাদ খান তাকে সহ চারজনকে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বাদ দিয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের ষড়ষন্ত্র করছেন ওই সন্তান। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত নয়, জীবন শঙ্কায় নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী মকবুল আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করছি। এরইমধ্যে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। সবশেষ ২০২৩ সালে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি।
কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্টের পর কিছু শিক্ষার্থীর বিভিন্ন দাবি এবং আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে আমার ছেলে আহমেদ ফরহাদ খান (সাবেক ট্রাস্টি মেম্বর) জোর জবরদস্তি করে আমাকে পদত্যাগপত্র সই করিয়ে নেয়। পরে সে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় দখলের জন্য তার আশ্রিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা আমাকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না প্রায় এক বছর। আমি বারবার প্রবেশের চেষ্টা করেও পারিনি, সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমার অজান্তেই আহমেদ ফরহাদ খান অবৈধভাবে স্বাক্ষর এবং নথি জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ৪ জন সদস্যকে সম্পুর্ন অবৈধ পদ্ধতিতে অন্যায়ভাবে অপসারণ করে এবং তার স্ত্রী বি বি আয়েশা লুবনার দুইজন আত্মীয়কে ঢুকিয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে নেয়। যা সম্পূর্ণ ভুয়া, অবৈধ এবং অন্যায়। এদের মধ্যে উল্যেখযোগ্য হলেন— সাবেক জেলা জজ হেলাল চৌধুরী, যিনি তার বিচারবিভাগের সাবেক কাজের অভিজ্ঞতা এবং পাওয়ার খাটিয়ে এসব অন্যায়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করাচ্ছেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ইউনিভার্সিটির ভেতরে বসে নানা বেআইনি কাজ করে করছেন।
মকবুল আহমেদ বলেন, এই অবৈধ সদস্যদের অপসারনের প্রতিকার চেয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ বোর্ডকে অন্যায়ভাবে ভেঙে দিয়ে ৪ জনকে অপসারণ করে নতুন বোর্ডের অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, আমার ছেলে তার বোন, ভগ্নিপতি এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বুঝিয়ে এই অন্যায় দখলকাজে সম্পূর্ণরূপে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে প্রাণনাশসহ নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। আমার ব্যাপারে নানান মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নানা জায়গায় তা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এমনকি আমাকে পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও নানা দায়ীত্বশীল জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি শারিরীক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ, যা আমার নিয়মিত ডাক্তারি চেক আপেই প্রমাণিত।
এমতাবস্থায় আমি আমার জীবনের ঝুঁকি অনুভব করি এবং বেশ কিছুদিন থেকে নিজের বাসায় তাদের সঙ্গে অবস্থান করতেও চরম বিপদ অনুভব করে আমার ভাই সাবেক এমপি এমএইচ খান মঞ্জুর বাসায় অবস্থান করে কোনরূপ দিন পার করছি।
তিনি বলেন, আমার সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ সম্পদ বিনিয়োগ করে আমার স্বপ্নের প্রিয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠন করি। স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানই ছিল আমার প্রধান ইচ্ছা। বর্তমানে আমি এই চক্রান্ত ও চরম জুলুমের শিকার হয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই অবৈধ ট্রাস্টি বোর্ড তাদের ইচ্ছামত যাচ্ছেতাইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ আত্মসাৎ করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রতিকার দাবি করেছেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করা হবে আজ। আগামী ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাকসু ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পড়াবেন রাকুস সভাপতি
৩ মিনিট আগেধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
১ দিন আগে